সহজপাঠটা সহজ করেই শিখিয়েছিলে তুমি,
তোমার জন্মে গর্বিত দেশ পুণ্য ভারত ভূমি ।
প্রাণের ঠাকুর রবি ঠাকুর বিশ্বকবি রূপে
বাঙালির ঘরে পুজিত তুমি শঙ্খ পুষ্পে ধূপে ।
ছোট থেকেই দেখছি তোমায় ঘরের দেওয়াল জুড়ে
মাল্যদানে পঁচিশে বৈশাখ তোমার গানের সুরে ।
প্রকৃতিপ্রেমিক স্বদেশপ্রেমিক বিশ্বপ্রেমিক হয়ে
আপনজনের মৃত্যু কষ্ট বক্ষমাঝে সয়ে ,
সৃষ্টি সুখের উল্লাসে তুমি রচেছিলে কত শত
পদ্য গদ্য উপন্যাস ও প্রবন্ধ ছিল যত ,
ছোটগল্প সংগীত সাথে চিত্রের আঁকিবুকি
ভানুসিংহ ছদ্মনামে হয়েছিলে চির সুখী ।
তোমার লেখায় কাব্যকথায় ভাষায় ছন্দ শিখি
প্রণাম তোমায় কবিগুরু , আবেগে পত্র লিখি ।
পত্রিকাতে প্রথম প্রকাশ ‘অভিলাষ’ কবিতাটি
ভালোবেসেছিলে সোনার বাংলা ফল বায়ু জল মাটি ।
রাখি বন্ধনে বেঁধেছিলে ডোরে হিন্দু মুসলমান
অবজ্ঞা ভ’রে ত্যাগ করেছিলে ব্রিটিশের সম্মান ।
মানবপ্রেমিক সংগীতজ্ঞ দার্শনিকও বটে
নোবেল জয়ী রবীন্দ্রনাথ বাঙালি হৃদয় পটে !
“জন গণ মন” জাতীয় স্তোত্র ভারতের পরিচয়
বিশ্বমাঝে তোমার সৃষ্টি বাঙালির বরাভয় ।
বাইশে শ্রাবণ শোকের ছায়া অস্তাচলে রবি
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক ও কবি ।