মিথ্যেবাদী। তুমি, আমি আর সকলেই মিথ্যেবাদী।
মিথ্যেই বলি আমাদের কাউকে দরকার নেই, টাকা দিয়ে সুখ কেনা যায়না, কৃষ্ণের ১০৮ গোপিনি
সব মিথ্যে, সব। ভোরবেলা উঠোনে সূর্য দেখে মিথ্যে বলি,
পূর্ণিমার দিনে চাঁদের আলোকে সন্দেহ করি,
আয়নায় দাঁড়িয়ে নিজেদের সুন্দর বলি, মিথ্যুক বলেই।
রাস্তাঘাটে ভিড় বাড়ছে আন্দোলনের,
মার্ক্স-কৃষ্ণ খাতার পাতায় সেজেছে বধূ, আমি লোকদেখাতে বলে চলেছি
নারী-পুরুষ সমান। সুখ প্রয়োজন অর্থ নয়। ভালোবাসা চাই, প্রেমের বেশি
অথচ ভিতর-ভিতর আমি জানি নারী পুরুষ সমান হতে গিয়ে বেশি দূরে চলে যাচ্ছে,
আমি বুঝি বাঁচতে আগে টাকাই চাই, ঘেরা পার্কে চাই প্রেম,
লোকলজ্জায় বলিনা। বলিনা আমরা কেউই;
তবু কোনোদিন, কাঁচের মন্দিরে ঈশ্বরের সঙ্গে যদি দেখা হয়,
যদি আয়নায় স্পষ্ট দেখা যায় ঈশ্বরের মুখ, বলবো-
ক্ষমতা দাও।
আমি মিথ্যেবাদী, জোচ্চোর, তবু বলবো
বিদ্যা বুদ্ধি চাইনা, দুটো টাকা দাও
আর নিয়মমাফিক এলাচ দেওয়া ভাত।