Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » পূজার সংসার || Roma Gupta

পূজার সংসার || Roma Gupta

ব্যাঙ্ক কর্মী অনিকেত দার্জিলিঙে পোস্টিং।
খুব ভোরে হাঁটা অভ্যেস।
প্রতিদিন ম্যালে গিয়ে চা খায়।

সেদিন পথে হঠাৎ বৃষ্টি নামলে অনিকেত পাশে একটা কালিবাড়িতে গিয়ে দাঁড়ায়।
দেখে একটি মেয়ে মন্দির ঝাড় দিচ্ছে।
অনিকেত জিজ্ঞাসা করে,” ইতনি শুভা, বারিষ মে কাহা সে আয়ি”?
মেয়েটি স্পষ্ট বাংলায় বলে,পাশেই থাকে।
অনিকেত বললো, বাংলা জানো দেখছি ! তোমার নাম কি? বাবা কি করেন?

মেয়েটি বললো, আমি পূজা।
ছোটোবেলায় মা মারা গেলে, বাবা আবার বিয়ে করে। সৎমা সবসময় খাটাতো, খেতে দিতোনা।

তারপর একটা বুড়ো লোকের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দিয়ে দেয়।
লোকটা আমাকে এখানে এনে পার্কে বসিয়ে রেখে একটু আসছি বলে চলে যায়, আর আসেনা।

সন্ধ্যা হলে আমি ভয়ে কাঁদতে থাকি। দারোয়ান আমায় দেখে এই কালিবাড়ির পুরোহিতের কাছে নিয়ে আসে।

আমি ওনার বাড়িতেই থাকি। ওনারা আমাকে মেয়ের মত ভালবাসে।
অনিকেত – বাড়ি যেতে ইচ্ছে করেনা?
পুজা – না। এখানেই ভালো আছি।
আমি বাড়িতে গেলে সৎমা ঢুকতে দেবে না। বাবার সঙ্গে ঝগড়া করবে। বাবা কষ্ট পাবে।
তাছাড়া কোথায় যাবো?
সংসার তো হলোনা, এখানেই ভালো আছি।

ততক্ষণে পুরোহিত এসেছেন।
আলাপের পর অনিকেত বলে, আমার একটা ভাই আছে, কোলকাতায় থাকে। বেসরকারি অফিসে কাজ করে। পোলিওর জন্য একটা পা কমজোরি, খুঁড়িয়ে হাঁটে। যদি পুজা রাজি থাকে এবং আপনাদের সম্মতি থাকলে আমার ভাইয়ের বৌ করে নিয়ে যেতে পারি ওকে।

পূজারি বলেন, কি করে বিশ্বাস করি আপনাকে। পূজা’মা বড়ো দুখী। শান্তির সংসার কি ওর ভাগ্যে আছে!
আবার যদি ..!

অনিকেত বললো কাছেই আমার অফিস, আমার খবরাখবর নিতে পারেন।
পুরোহিত বলেন, মেয়েটার একটা গতি হলে আমরাও খুশি হবো।

অনিকেত ভাই অনিরুদ্ধকে নিয়ে এসে এই কালীবাড়িতেই বিয়ে দেয়।
নতুন সংসার পেয়ে পূজা-অনিরুদ্ধ দুজনেই খুশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *