আমরা হোলাম শুধুই পুরুষ
আমরা কারো কাছে নয় মানুষ।
আমরা কারো ছেলে ,কারো দাদা ,
কারো বাবা, আর সবশেষে স্বামী,
এটাই জগতে আমাদের পরিচয়।
যতদিন ছোটো থাকি ততোদিন
মায়ের কোলে থাকি এক শিশু হয়ে
খেলাধুলা করি পরে পড়াশোনা করি
তারপরেই ধীরে ধীরে হয় পুরুষ।
শুরু হয় বাবামায়ের প্রতি ছেলের কর্তব্য
তারপর করি ভাইবোনের প্রতি দাদার,
স্বামী হয়ে করি স্ত্রীর প্রতি কর্তব্য
সবশেষে করি ছেলেমেয়ের প্রতি
এক আদর্শ বাবার কর্তব্য।
ছেলেমেয়ের স্কুলের টিফিন যোগাতে
বাসে নয় হেঁটে যায় কাজের স্থানে।
বাবা মায়ের ওষুধ যোগাতে
অফিসের পরে করি অন্য কাজ।
ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে ,সকালে আবার অফিস।
এই ভাবেই বয়ে যায় সংসারের ঘানি
সারা জীবনে নিজের জন্য কিছুই ভাবেনি
নিজের জন্য কোনো সময়ও দিয়নি তবু
অবশেষে আমরা যখন হয় অক্ষম শক্তিহীন।
তখন নিজের স্ত্রীই বলে কি করেছো সারাজীবনে
আমাদের জন্যে, এক অকর্মণ্য পুরুষ
ছেলেমেয়েরা বলে কি করে রেখেছো
এতো দিনে আমাদের সবার জন্যে কাপুরুষ।
এই হলো পুরুষদের কঠিন ও বাস্তব জীবন
হাই ঈশ্বর হাইরে আমাদের সভ্য শিক্ষিতসমাজ
যে ছিল সংসারে বটগাছের ছায়া মতো
যাহার ছায়ায় ছিল গোটা সংসার
যে দিতো সংসারে নিঃস্বার্থ ভালবাসা।
এতদিন যে টেনে গেছে সংসারের বোঝা
আজ সেই পুরুষটাই সকলের কাছে বোঝা।
আর এটাই হলো পুরুষের নিয়তি।।