ভিড়ে ভরা বাসে হঠাৎ ব্রেক, আর একে অপরের ওপর গিয়ে পড়লো
হঠাৎ শোনা যায়-‘এই যে আপনি ঠিক করে দাঁড়াতে পারেন না’
কিংবা হয়তো-‘বাড়িতে মা,বোন নেই নাকি, অসভ্য লোক একটা’
অসহায় পুরুষ মুখ বুজে সহ্য করে আসছে এই যন্ত্রণা, অপমান।
আবার হয়তো নারীমহল থেকে ভেসে আসে-‘পুরুষ জাতটাই এমন’
যে পুরুষ জাতি নারীর আত্মা স্পর্শ করে তাকে খুশি রাখতে চায়,
বাবা-মেয়ের যে সম্পর্ক পৃথিবীর সবথেকে সুন্দর সম্পর্ক,
সেই পুরুষকে রাস্তাঘাটে, বাসে, ট্রেনে নিরন্তর অপমানিত হতে হয়।
মনে ভাবি, পূর্ণিমার চাঁদ কিংবা সন্ধ্যার শুকতারার দিকে তাকাবো না,
যদি তারাও দলবেঁধে অপমান করে, যদি ভাবে স্পর্শ পেতে চাই!
সৌন্দর্যের দিকে তাকালেও যদি অসৎ উদ্দেশ্য ভেবে অপমান করে,
তাই আর এদিক ওদিক তাকাই না।
পুরুষ তবুও নিস্তব্ধ জোনাকির মতো আলো দিয়ে চলেছে,
প্রকৃত পুরুষ আনমনে বলে ওঠে-‘যে ভালোবাসার, সে ঠিক বাসবে’
তবুও সে ঢাল হয়ে দাঁড়ায় নারীর বিপদে ত্রাতা হয়ে।
মনে পড়ে সেই সুঁটিয়ার মাস্টারদা বরুণ বিশ্বাসের কথা,
কিংবা কক্সবাজারের সমূদ্র সৈকতের সেই আব্দুল মোনাফের কথা,
নারীর সম্মান বাঁচাতে যাদের পুরুষরাই করেছিল ক্ষতবিক্ষত।
বিনা কারণে অপমান করার আগে একবার ভেবো, সব পুরুষ কি খারাপ?
কাঁদতে না পারার যন্ত্রণা নিয়ে হাসিমুখে কতো পুরুষ অপমানিত হয়।।