তাজমহলটা আজও ঘরের শোকেজে সাজিয়ে রেখেছি।
অতি যত্নে সন্তর্পণে মাঝে মাঝে বাইরে বের করি-
ধুলো বালি ঝুল ঝেড়ে আবার পুরে ফেলি কাঁচের মধ্যে।
প্রতি অমাবস্যার রাতে আমার সংগ্রহশালা থেকে ভেসে আসে
প্রেতাত্মাদের ফিসফিসানি-মায়াবী হাসি-অস্ফুট সংলাপ
আচমকা ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখি
আমার বইয়ের আলমারি আর লেখার টেবিল ছুঁয়ে
হাস্যকলরবে মত্ত দুটি প্রেতাত্মা
নিশ্ছিদ্র আঁধারেও চিনতে ভুল হয় না!
মাথায় তাজ দীর্ঘদেহ সেই শৌখিন সম্রাট
আর রত্নমালা বিভূষতা সেই লাস্যময়ী সম্রাজ্ঞীকে!
হ্যাঁ!এ-ই তো!ইতিহাসের স্বর্ণফ্রেমে বাধানো
সেই দুই চেনা ছবি-শাজাহান-মমতাজ!
তবে কি সময় কালের সীমারেখা ছিন্ন করে
আজও তারা জীবিত!
বর্তমানের ভিত্তিপ্রস্তরে অতীতের জীবাশ্ম এঁকে
আজও তারা বারবার ফিরে আসে
যন্ত্রণাহীন যান্ত্রিক সভ্যতার আঁধারে!
বেদনাহীন ছিন্নমূল বেদীতলে!
চেতনা গহীন নিষ্প্রাণ শিহরণে!