এক মুঠো মাটি নিয়ে, একটু পানি মিশিয়ে
ছোট্র একটা পুতুল গড়তে সারা দিন সারা রাত
ছটফটিয়ে কাবার ক’রে দিলাম, অথচ
কিছুতেই পুতুলের মুখের কোনও ছাঁদ-ছিরি ফোটেনি।
অসম্পূর্ণ পুতুলটিকে নানা কোণ থেকে দেখার
চেষ্টায় কেটে গেল ঝাড়া কয়েক ঘন্টা; তৃপ্তি
হয় না। ভাঙার তুমুল নেশা পেয়ে বসে আমাকে;
হঠাৎ টুকরোগুলো আমার নিষ্ঠ আঙুল আর
নরুনের যুগলবন্দীতে আবার
পুতুল একটা আদল পেয়ে যায় আখেরে
সবার অলক্ষ্যে। আমি সারিন্দা হই, হই আতশবাজি।
বসন্ত-হাওয়া, গাছের পাতা, চার দেয়াল করে নান্দনিকতার নান্দীপাঠ।
গভীর রাতে, যখন চাঁদের হাত নদীকে নাচায়,
সেই পুতুল আমার সঙ্গে কথা বলতে শুরু করে
ফিসফিসিয়ে, শোনাতে চায় প্রাচীন এক
দ্রাবিড় কন্যার কাহিনী, যে পুতুলের
মতো সুন্দর হ’তে চেয়েছিল অমাবস্যা রাতে
বিরূপ প্রেমিকের শুভ দৃষ্টিতে স্নাত হাওয়ার জন্যে।