পায়ের শব্দ শুনতে পাও ?
নিযুত নগ্ন পায়ের মহাসঙ্গীত |
মলিন কোর্ত্তাপরা কারখানার কুলি আসছে আজ অসঙ্কোচে
আর রাস্তার মূর্খ মজুর,
জাহাজের খালাসী আর পথের মুটে—
বিশ্ব-মানবের মিছিলে আজ মিল্ ল এসে
এ কোন্ অপ্রত্যাশিত পূত বন্যা !
পঙ্কিল বলে ঘৃণা কর্ বে আজ কে ?
কলুষিত ব’লে কে নাসিকা কুঞ্চিত করবে ?
তফাৎ যাও !
জরাজর্জ্জর দেহে তাজা রক্তের স্রোত বইল ;
বদ্ধজলে মৃত্যুর জীবাণু বংশ বিস্তার ক’রছিল,
আজ প্রাণের বিপুল বেগে সাফ হ’য়ে গেল
বনেদি জঞ্জাল, সনাতন ধাপ্পাবাজি ;
রাজ্ পথের ধূলি আজ তাদের নগ্ন সবল চরণ আলিঙ্গন করে
ধন্য হ’ল |
কলের কুলি আর মাঠের চাষা, রাস্তার মুটে
আর কারখানার মজুর—
পাল্কি চড়ে চড়ে কার পা পঙ্গু হয়ে গেছে,–
আজ ওই নগ্ন সবল পায়ের সঙ্গে পা মিলিয়ে চল |
মাথায় পা দিয়ে দিয়ে কার পা ভারী হ’ল
পাপের ভারে—
ওই পুণ্য পথের ধূলায় নামাও সে ভার |
আজ পাঁওদল, চলে নবজাগ্রত ভয়মুক্ত মানবের দল,
তার সাথে পাঁওদল, চলেছেন মানবের দেবতা |
আজ যদি চোখে জল আসে
সে কি দুর্ব্বলতা ?
ওই কালিমাখা শ্রম-কঠোর ঘর্ম্মাক্ত দেহখানি
আলিঙ্গনের লোভে
বাহু যদি আপনা হ’তে প্রসারিত হয়
সে কি লজ্জার কথা !
দেবতা যে পাঁওদল চলেছেন ওই—
নগ্ন পদ কুলিদের সাথে ভাই—
তিনি যে আজ আহ্বান করেছেন ওই পথের ধূলায় –