তুমি বার বার করে, আসিয়াছ ফিরে, ধরণীর ধুলি পরে,
বুঝিনি তোমারে, তবু এতোবারে, জনম জনম ধরে।
কোথা বসে থাকো, কি আহার কর,খোঁজ করেছি যে কত,
বুঝিনাই কিছু, বুঝিতে পারিনি,বৃথা খুঁজিয়াছি যত।
আজ ভাবি তাই,তোমারে সদাই,দেখিতে না পাই বলে,
কতবার একা একাই ভোজনে, ডাক দিতে গেছি ভুলে।
তোমার লাগি যে অন্ন রেঁধেছি,খেয়ে যায় বার ভূতে,
ব্যঞ্জন কতো রাঁধা বৃথা যায়,পড়েনি তোমার পাতে।
জানিনা, বুঝিনা, বুঝিতে চাহিনা,অন্তরতর তারে,
আত্মতৃপ্তি নিয়ে মজে থাকি,ভুলে যাই বিধাতারে।
হে মোর বিধাতা, ক্ষমা কর মোরে,জেনেছি সে কথা শুনে,
আত্মাতে নাকি বাস কর তুমি, আমি খুঁজি পরভূমে।
তাই যদি হবে, এ বিশ্বে তবে, সবই তো আবাসভূমি,
যত জীব আছে, ভ্রমিছে তোমাতে, তুমি যে জীবনস্বামী।
যত ভুল করি আত্মসেবায়,মনে হয় বুঝি সেতো ভুল নয়,
জীবসেবা সেতো তব পরিচয়, সব জীবে আছ তুমি।
হে জীবনস্বামী, এই বর মাঙি, জীবে সেবা করি আমি,
সে সেবা তোমারি, হবে বোধকরি, এই কথা মনে মানি।
হে মোর দেবতা, দিয়েছিলে কথা, জনম লগন ক্ষণে,
সে কথা বুঝিবা, স্মরণে এসেছে, এতোকালে ভুলো মনে।
যা ভাবিয়া মনে, ভাবি নিশিদিনে, পারের কড়ি তো চাই,
যা কিছু জমিয়ে তুলেছি সে বোঝা, ওপারের কড়ি নাই।
দিও করে পার, বিধাতা আমার,দিন চলে যায় শুধু,
ভব নদী পার, তুমি কর পার, জীবন জুড়াও প্রভু।