একদিন খাঁচার বন্দি পাখিটিকে শুধালেম,
তুমি কি করে থাকো এই ছোট্ট বদ্ধ খাঁচার মধ্যে ?
তোমার কষ্ট হয় না!
আর ঐ যে শেখানো গান করো;
তোমার তো নিজের গান কতো আছে, সেই গান
করো না কেন?
পাখি খানিক উদাস হয়ে বললো আমায়,
” আমার যখন জন্ম হয়,
যখন থেকে চোখ মেলে ঐ আকাশটাকে দেখলাম,
তখন এই চোখে অনেক স্বপ্ন এঁকেছিলাম।
ঐ আকাশটাকে নিজের ঘর ভেবে নিয়েছিলাম।
ভুল ভাঙলো যখন আমার ওড়বার ডানা দুটো
ছেঁটে ফেলে দেওয়া হলো!
আমি ওড়বার শক্তি হারিয়ে ফেললাম।
আর একটু যখন বড়ো হলাম, আমাকে জোর করে ধরে
সুসজ্জিত খাঁচায় বন্দি করা হলো।
আমি নিজের ইচ্ছা মত কোথাও আর যেতে পারি না।
জানো; আমার নিজের অনেক গান ছিল,
আমাকে নিষেধ করা হলো ঐ গান গাইতে!
শুধু শেখানো গানই গাইতে হবে আমাকে।
আমি গান ভুলে গেলাম!
তবে আমি এখনও স্বপ্ন দেখি, একদিন ঠিক
খাঁচা ভেঙে বেরিয়ে যাব,ঘর বানাবো ঐ আকাশে।
তখন প্রাণ খুলে গলা ছেড়ে আমি আমার নিজের
গান করবো।
সেদিন দেখবে তুমি আমি খুশি থাকবো, আনন্দে থাকবো
তুমি দেখো আমার স্বপ্নগুলো একদিন ঠিক ধরা দেবে
আমার কাছে।”