বলেছিলে,দেখা হবে কোন এক রোদেলা সকালে, মেঘলা দুপুরে, তুমি আমি মিলে, নীল আকাশের নিচে, দিগন্ত জুড়ে সবুজ মাঠের গালিচায়।
বহু শতাব্দী পার হয়ে গেল, তোমার দেখা নাই, স্পর্শ হারাই! একটি বার রাখো তোমার হাত আমার হাতে। দেখো সারা দুনিয়াটাই আমার সাথে!
অযুত নিযুত বছর পার হয়ে গেল ভালো করে দেখি না তোমায়
কাছে এসেই কেমন ছায়ার মতো সরে যাও ধরা দেবে না বলেই।
একবার চোখে চোখ রাখো, দেখো আমার চোখের কনিনীকায় জ্বলন্ত খাজুরাহো গ্রাম আগুনের ফুলকি হয়ে ফুটে আছে!
যেন কোন দেবালয়ে ঘীয়ের প্রদীপ জ্বলছে। মেঘমন্দ্র ধ্বনিতে সাঙ্গ হচ্ছে দেবীর আরাধনা!
কথা দাও,তোমার দেখা পাবো!
এইটুকু নিশ্চয়তা পেলে আমি তপ্ত মরুভূমি পার হয়ে যাবো। অনায়াসে হেঁটে চলে যাবো হিমালয়ের পাদদেশে।
তোমার স্পর্শ পেলে পাহাড় চুড়ায় আগুনে পরশ খুঁজে পাবো। এই পৃথিবীর দূরত্ব অতিক্রম করে চাঁদের দেশে পাড়ি দেবো, যেখানে এক বুড়ি মা সাদা, সুতোর চরকা কাটে।
আগুনের পরশমণি ছুঁয়ে, চাঁদের বুকে কালো দাগ মুছে দেবো।
তোমাকে কবে কখন দেখেছি, ছুঁয়েছি, কোন এক বৃহস্পতিবার, ছাদের সেই চিলেকোঠা ঘরে।
আজও রাত গভীর হলে,গল্প শোনাবে বলে চাঁদ তোমার জানালায় উঁকি মারে।