অটলবাবু ভালো মানুষ একটিই তাঁর ছেলে
নাম রেখেছেন পদ্মলোচনা ভীষণ বাউন্ডুলে
এটা ভাঙে,ওটা কাড়ে মারপিঠেতে মাস্টার
পড়াশুনায় অষ্টরম্ভ, মাস্টার মারে ডাস্টার।
লক্ষীবাঁধা অটলবাবুর ,অঢেল ঘরে টাকা
বিরাট বাড়ি, মনোহরী মনটা কেবল ফাঁকা
সারাজীবন সঞ্চয়ী সে সোনা – চাঁদির ব্যবসা
পদ্মলোচন নয় তো তেমন এটাই বড় সমস্যা।
পড়াশুনা শিকেয় তুলে শুধু বন্ধু নিয়ে মশগুল
কথা শোনেনা, বাঁধা মানেনা অতুলবাবু ব্যাকুল
মায়ের আদর করছে বাঁদর ভবিষ্যৎ অন্ধকার
হতাশায় অতুলবাবুর বাড়ি কাঁপানো চিৎকার।
রাগীকাকা কান্তিভূষণ যুদ্ধ থেকে এলো বাড়ি
সব শুনেই রেগেই টং, মুখটি যেন ফুটন্ত হাঁড়ি
“কোথায় ব্যাটা হাড় – বজ্জাত বংশের কুলাঙ্গার”
হুকার শুনেই পদ্মলোচন ভয়ে দৌড় -পগারপাড়।
সেও ছোটে পিছে কাকা ছোটে যেন প্রাণের দায়
হটাৎ এক দশমনি চড়ে পদ্মের প্রান যায়, যায়
উত্তম, মধ্যম খাওয়ার পর করতে হলো প্রতিজ্ঞা –
পড়বে, স্কুলে যাবে, মানুষ হবে, হবে না অবজ্ঞা।
তোমরা জানোনা পদ্মলোচন অনেক বড় আজকে
ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবার বেছেছে কাজকে
আজকে তোমরা ছোট কালকেই হবে অনেক বড় –
রইল আশীর্বাদ,মানুষ হয়ে নিজের মহত্ব তুলে ধরো।