জানো মা , মানিয়ে নিয়েছি সবটা !
প্রথম রাতে সিগারেটের ছেঁকা থেকে শুরু করে ,
ভার্জিনিটি প্রমাণের তীব্র লড়াইটাও ।
পণের বকেয়া দশ হাজার টাকার দরুণ বিকিয়েছি নারীর লাজ ,
ঘরেতে পঙ্গু বাবা, ছোটো আরো দুটো বোন …. !
অভাবের মাঞ্জায় ক্ষয়ে নুইয়ে পড়ি রোজ ,
তবুও কানে বাজে তোমার অসহায় কন্ঠস্বর ;
“আর একটু মানিয়ে নে মা ,
তবুও তো দুবেলা দুমুঠো খেতে দেয় রোজ !
হা-ভাতের ঘরে ক্ষিধের জ্বালায় সম্মান পোড়ে ধিকি ধিকি ,
অভাগির বেটির শুচি – অশুচির নেই কোনো দর কষাকষি ।”
শেষ রাতে যখন ভিজে গা কেরোসিন , ছুঁড়ে দিলো দেশলাই ;
চামড়া পোড়া গন্ধে ম – ম চারিধার ,
জ্বলে পুড়ে বিকৃত হয়ে গেলো তোমার প্রিয় মুখ ,
তখনও আমি তোমার কথা রেখেছি মা ,
সবটা মানিয়ে নিয়েছি ।
বাবাকে বোলো আমার আর ভাত চাই না !
পারলে বোন দুটোকে রেহাই দিও ,
পণের মাশুল গোনার আগেই ,
ওদের মুখে বিষ দিও !!