হৃদপিঞ্জরের ভাঁজে যত্ন করে রাখা আমার নিশি অভিসারের গোপন কথা,
ছন্দের গমকে আবেগের সুতো দিয়ে গেঁথে রাখা প্রেম মালা।
রাতের প্রহরে প্রহরে ছায়াবৃতা শব্দের শরীরী আস্বাদনে আমি বুঁদ হয়ে থাকি ।
মোহময়ী শব্দেরা উপমা অলঙ্কারে সেজেগুজে আমার কাছে ধরা দেয়,
নিপুণ শৈল্পিক গঠনে আমি তাদের অবয়ব গড়ে তুলি আবেগের রঙ তুলিতে,
রোজ রাতেই সৃষ্টি হয় এক একটি প্রেমময় কবিতার।
অনুরাগের আশ্লেষে সোহাগিনী কবিতা আমার বুকে মুখ ঘষে।
আহা! কি অনির্বচনীয় সুখানুভূতি!
প্রেমের অদ্ভুত মাদকতার আচ্ছন্নতা
আমার চেতনা জুড়ে বিলাবল রাগে সরগম সাধে।
কেউ জানে না আমার এই নিশি অভিসারের গোপন কথা,
শুধু কিছুটা বুঝি বা চাঁদ,তারা আর ওই হিমেল বায়ু আঁচ করে থাকবে।
তাই হয়তো,জোছনা এসে হামলে পড়ে কখন সখন,
তারা গুলো ঝিকমিক করে আমার কবিতার কপালে টিপ এঁকে দেয়,
হিমেল বায়ু আমার গায়ে মধুর পরশ রেখে যায়,
রোজ রাতে সৃষ্ট এক একটি অনবদ্য কবিতা প্রেমের রসে স্নাত হয়ে অভিসারে মেতে উঠে,
আমার মনের অলিন্দে গরিয়সী ভঙ্গিমায় পায়চারি করে।
আমি অপলক দেখতে থাকি,ডুবতে থাকি,ভাসতে থাকি ,
অনাস্বাদিত পুলকে রোমাঞ্চিত শিহরণ টের পাই,
নিশি অভিসারের স্বরলিপি বুকে আঁকড়ে রাখি নিবিড় আলিঙ্গনে।
সৃজনের উন্মাদনায় আবারো প্রেমের ভেলায় চেপে বসি
–অতঃপর–