একালে সম্পর্কগুলো হয়তো একই আছে..
নেই নির্জন লাবণ্যে কোন আলাপ আলোচনা,
যে যার সে তার স্বার্থী ভাবনায় জীবনে যুজছে..
শুধু কেউ আজ আর কারো প্রতি আন্তরিক না।
বড়ো বাড়ী ভেঙে হল টুকরো টুকরো,
অনুপরিবারে দু’কামরার ফ্ল্যাট পাই;
ভাগাভাগি আজ বলছে আমার পুরো-
যা আছে সবকিছুর ভাগ চাই একাই।
যে ছাদে একটা চাঁদেই ছিল সবার স্বপ্ন বোনা-
এক বিছানায় শীতে বা গরমে ঘুমের ছিল সুখ,
ভাগের ছাদে আজ আর কেউ তো শোয়না-
নির্জনতার লাবণ্য খোঁজে মোবাইলে ডুবিয়ে মুখ।
সেদিনে বহুজন সম্মেলনে ছিল কতো মানুষের ভিড়,
আদরে-শাসনে ছিল না কোন প্রতিরোধ-প্রতিবাদ,
আজ যেন একাকীত্ববোধই সবচেয়ে দামী-
ঘরে ঘরে এই নিয়েই নিরন্তর বিবাদ-বিসংবাদ।
ভাই-বোনে হরদম খুনসুটি কিংবা মারামারি-
সেকালের আবহে এগুলোই ছিল সম্পূর্ণ স্বাভাবিক,
আজ নেই ভালবেসে ভাব বা রাগ করে আড়ি-
এখন নির্জনতাপ্রিয় ছেলেমেয়েরা আধিদৈবিক।
তখন পূজো-পার্বণে ছিল মিলনের অনাবিল আনন্দ,
আজ অনেক পূজো আসে দেখাতে সবার বৈভব..
পূজোয় জনসমাগমে অন্তরে জাগে শুধু বিদ্বেষ ও দ্বন্দ্ব;
আপন প্রাণের বন্ধুর সাথেই মানায় লাবণ্যের মচ্ছব।।