এমন একটা নিরাপদ বাড়িতে আমাকে বাস করতে হচ্ছে
যেখানে ভালো না লাগলে বলতে পারার আমার কোনও অধিকার নেই
যে ভালো লাগছে না।
এমন একটা নিরাপদ বাড়ি যেখানে কষ্ট পেতে থাকবো আমি,
কিন্তু কাঁদতে পারবো না।
চোখ নামিয়ে রাখতে হবে আমাকে, কেউ যেন দেখতে না পারে
কোনও অমীমাংসিত যন্ত্রণা।
এমন একটা বাড়ি যেখানে ইচ্ছেগুলোকে প্রতিদিন ভোরবেলা খুন হয়ে
যেতে হয়, আর সন্ধের আগে আগেই বাড়ির উঠোনে পুঁতে দিতে হয়
ইচ্ছের মলিন মৃতদেহ।
দীর্ঘ দীর্ঘ শ্বাস ফেলে নৈঃশব্দ ভাঙি নিরাপদ বাড়ির,
দীর্ঘশ্বাসের শব্দ ছাড়া আর কোনও শব্দ নেই বাড়ির বাইরে বা ভেতরে।
প্রতিদিন ভয়ে ভয়ে ঘুমোতে যাই, ভয়ে ভয়ে জাগি,
নিজের ছায়ার সঙ্গে যতক্ষণ জেগে থাকি মনে মনে কথা বলি।
জানি না কোত্থেকে বিষদাঁত-সাপ এসে থিকথিকে ক্রোধ আর ঘৃণা
ছড়াতে ছড়াতে সারাদিন আমার শরীর বেয়ে হাঁটাহাঁটি করে,
হিসহিস করে বলতে থাকে, চলে যাও,
সীমান্ত পার হয়ে দূরে কোথাও, কাক পক্ষী না দেখে
কোনও দূর্গম পর্বতের দিকে কোথাও চলে যাও।
ছায়াটির শরীর বেয়েও সাপ বলতে বলতে যায়, যাও, জন্মের মতো যাও।
বন্ধুরা, প্রার্থণা করো, নিরাপদ বাড়ি থেকে কোনও একদিন
যেন নিরাপদে বেরোতে পারি বেঁচে।
প্রার্থণা করো, যেন কোনও একদিন একটি অনিরাপদ বাড়িতে
বাস করার সৌভাগ্য আমার হয়।