ঘুমের ঘোরে সেদিন দেখিনন্দলাল সেই নেতা,ডি-এল- রায়ের নন্দ সে যেশুনুন

দূষণ দুনিয়া ছেড়ে দূরে যেতে চাই,যদি পাখি তোর মত একজোড়াডানা

দুর্নীতির খোঁপায় কে নাগোঁজে প্রেমের ফুল,সবাই ধোয়া তুলসী পাতাকে ধরে

সুরের জলসা শেষে সুরলোকেপাড়ি দিলেন কে-কে!যে জীবন এত অনিশ্চিত,সে জীবন

আজব দেশের আজব রাজানামটি মিস্টার ক্লিন,ময়লা তার লাগে না গায়,ঢাললেও

আজ আর”যত্র জীব তত্র শিব নয়”চৌকিদারের বিশেষ নজর দারিতেযত্র-তত্র শিবলিঙ্গ

অদক্ষ কান্ডারীর হাতে জীবন সঁপেবসে থাকা আর মৃত্যুর প্রহর গোনাএক‌ই

কালবৈশাখি জ্বালাক-পোড়াক,কাল-বৈশাখিকে চাই!বৈশাখী ছাড়া তপ্ত দেহ-মনজুড়াতে কেহ নাই! বৈশাখী ঝড়ে

এসেছে কেমন সুখের দিন,বাজে খুশির বীণ,বাজার করে ব্যাজার-মুখেনাচ-রে তা’-ধিন্ ধিন্!

লেখনি আমার নয় সে তো ভাইশৌখিন মজদুরি,লেখনি আমার নয় সে

টাইটানিক জাহাজ ডোবেযাত্রীরা ঘুমে মগ্ন,খবর রাখে কজন আরকখন সেটি ভগ্ন?ঘুমিয়ে

দুর্গা মায়ের পুজোর ঘটেওই যে শাড়ি খানা,সিরাজুলের তাঁতে বোনাক’-জনের তা

বেদনার স্বরলিপি লিখে যাই রক্তের আখরে!রক্ত জবার মত রক্তাভ প্রভাত

আমার কবিতা আবার বাস্তবতায়রূপ পেল ,তিরুবন্তপুরমের ঘটনায়!আমার কবিতার কয়েকটি পংক্তি

গোলাপের ভাষা বোঝেন কজন,বোঝেন কজন কথা,নীরব ফুলের নীরব ভাষাকজনে বোঝেন

সতেজ করিতে শুষ্ক ফুলের বনেনিয়ে আসি বারিধারা,নুয়ে পড়া যত সবুজ

ঘু্মের ঘোরে স্বপ্নে দেখিবিচিত্র এক নেতা,শুনুন বলি আজব সে একদেশসেবকের

স্বাধীনতা কালে কত না নারীর নীরবে জীবনগিয়েছে চলে,কতজন বলো রাখে

খোকাবাবু স্বপ্নে গেলহাসির রাজার দেশে,যে দিকে চায়, হাসছে সবাইআসছে হাসি

স্বাধীনতার জন্যে যাঁদের জীবন বলিদান,স্মরণ করি,চরণে প্রণতি,ভুলিনি অবদান।আজ যাঁরা শাসকের

গাধা হলেও মনিবের ভন্ডামি বোঝে,কিন্তু প্রতিবাদের ভাষা নেই!গাধা ভেবেছিল, দেশ

বইব কত করের বোঝাকর যে হলো কাল,ঘরে-বাইরে কর দিতে হয়,মানুষ

মায়াবিনি চাঁদের আলোসোনাই নদীর জলে,ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ যে ওঠে,নাচের তালে

চুল গজাবে মাথায় নাকিমাখলে খাঁটি সে তেল,গ্যারান্টি দিচ্ছে রামেশ্বরকথা হবে

খাঁটি জিনিস পাবে কোথায়ভেজাল সারা দেশটায়,ভেজাল নিয়ে ভেজাল কথালিখছি বসে

আমরা বাঙালিরাকুলীরক-মানুষেরদল!কাউকে উপরে উঠতে দেখলেইপিছন থেকে টেনে ধরি।কামড়াকামড়ি, মারামারি,দলাদলি, আমাদের

রাজার নামে বললে কথাতোতায় আনে ডাকি,শেকল খুলে উড়িয়ে দিলেউড়ে যে

সব শিশুদের জন্ম থেকেইলড়াই হাত-পা ছুঁড়ে,যুদ্ধ করেই লক্ষ্মী যে লাভ

উমা তুমি আসবে বলে,শিউলি কাশে-দোলা,আকাশ জুড়ে যায় যে ভেসেসাদা মেঘের

মিল চেয়েতো অমিল পেলামমিলেতে গরমিল,অমৃত চেয়ে গরল পেলামবিষে দেহ নীল।সুরের

শরৎ এলে দখিন হাওয়ায়দুলে ওঠে মন,মাতাল হাওয়া শনশনিয়েমতায় কাশের বন।সাদা

বিপন্ন মানুষ, বিপন্ন মানবতাবিপন্ন স্বদেশ আজ,মানুষের বেশে, নরপশু ঘোরেনেই যে

পেলিকান-মা-র বাচ্চা যখনক্ষুধায় কাতর হয়,নিজের বুক ক্ষত করে সেশাবককে খাওয়ায়।চঞ্চু

ঘরে ঘরে দুর্গা মা -সে,মর্ত্যের সে যে দশভুজা,সবার সে যে

হায়রে মধ্যবিত্ত -জীবন,অসংখ্য ক্ষতের মুখে লাগিয়ে প্রলেপ,কেটে গেল উৎসবের কটা

স্থলে-জলে-অন্তরীক্ষেসর্বত্র-ই দূষণের হলাহল!ভিতরে-বাইরে, মানুষে মানুষে,কী এক অবিশ্বাস !আজ আর কেউ

প্রতিবছর দাদা আসেনবোনের ফোঁটা নিতে,মন খারাপ মায়ের ভীষণ,পারবেনা ফোঁটা দিতে!ফোঁটা

সুন্দরীর মিষ্টি হাসির সঙ্গেবেতস লতার মতো কোমল হাতেধূমায়িত এক কাপ-“চা”

গোপন কথার মত পোশাক আড়ালে তুমিযা কিছু করেছ গোপন,রাত্রি এসে

দেশের চিন্তায় আসেনা যে ঘুমযৎসামান্য‌- যে তাইবিদেশ থেকে খুঁজিয়া ছত্রাক,আশি