অনর্গল বৃষ্টি হলে ওরা আসে আমার ঘরে
আমার হৃদয়ে জমানো না বলা কথারা
চুপিসাড়ে আমায় ডেকে নিয়ে যায়
বাড়ির পেছনে অফুরান অনন্ত সীমায়
আজোনিয়ে গেল আমায়।
অনর্গল বৃষ্টি ধারায় ঝাপসা গাছপালা
শব্দ হীন মাঠ জুড়ে খেলা করে হাজারো বালক
তারা খেলা করে সরলতা মার্বেল নিয়ে
চুপিচুপি দাঁড়াই ওদের কাছে
প্রাণপণ চীৎকারে ডাকি
হঠাৎ তাকিয়ে দেখি
দাঁড়িয়ে আমি সেই শীর্ণ বালক এ কি
ছুঁতে যাই । অবশ শরীরে তখন একরাশ বিষণ্ণতা
চারিদিকে চেয়ে দেখি দাউদাউ জ্বলে চিতা
আমার মৃত স্বপ্নের লাশ গুলো পোড়ে অনন্ত কাল ধরে
কাঁদি না আমি বুকের ভেতর পাথরের পাহাড়
আমি ছোটাছুটি করি
চারদিকে চেয়ে দেখি শুধু আমি
খ্যালখ্যাল করে হাসে আমার বালকবেলা
চিতায় ঝাপিয়ে পড়ছে আমার আরো আরো স্বপ্নেরা
ব্যর্থ আমি শুধু চেয়ে থাকি অনন্ত পথের দিকে
একি দায়! হায়!