আমার কবিতা আবার বাস্তবতায়
রূপ পেল ,তিরুবন্তপুরমের ঘটনায়!
আমার কবিতার কয়েকটি পংক্তি ছিল–
“মানুষ কখন দেবতা হয়, দেবতা মানুষ!
যাকে দেখেছি প্রসূতি সদনে
ডাক্তার কিংবা নার্সের বেশে!
আজ দেখলাম দেবতার রূপে!”
ডিউটি সেরে কোচি থেকে ফিরছিলেন,
শিবা নামে এক নার্স দিদি!
সারাদিনের ডিউটি-ক্লান্ত দিদি,
রাতের চলন্ত বাসে তন্দ্রাচ্ছন্ন !
আচমকা তাঁর অনুভব,
পিছন থেকে একটা হাত তাঁকে
ছুঁতে চেষ্টা করছে !
চমকে ঘাড় ঘোরাতেই দেখেন এক
অসুস্থ যুবক তাকে করছে ছোঁয়ার চেষ্টা!
হঠাৎ যুবকটি জ্ঞান হারিয়ে
পড়ে সীটের নীচে!
বাস চালককে বলে দিদি বাস থামান!
নার্সদিদি দেখেন তার নাড়ির গতি ক্ষীণ!
মুখে গাঁজলা,নাক দিয়ে বেরোয় রক্ত!
ড্রাইভারকে বলেন, দ্রুত হাসপাতালে
নিয়ে যেতে!
ইতিমধ্যে বুকে চাপ দিয়ে দিয়ে,
কৃত্রিম উপায়ে চালু রাখেন শ্বাস-প্রশ্বাস!
এভাবেই স্বাভাবিক হয় তার ফুসফুস!
হাসপাতালে ভর্তির পর ডাক্তার বলেন
তিনি বিপদমুক্ত!
ঠিক সময়ে এমন প্রাথমিক শুশ্রূষা না
পেলে তিনি হয়তো বাঁচতেন না,
নার্স দিদি-ই তাঁর জীবন দাত্রী!
এভাবেই মানুষ কখন দেবতা হয়,
দেবতা কখন মানুষ রূপে ধরা দেয়
ধরণী ধূলায় কে বলতে পারে?