তুমি কখনো নীলকন্ঠের মত গরল রঙা,
তুমি কখনো আসমানী দিগন্তের রূপে বিরাজিতা,
তুমি নবোদিত ঊষার রক্তিমাভায় লজ্জাবনত আননে,
তুমি বেগুনি জামদানি মোড়া সদ্য বিবাহতা ললনা,
তুমি কালবৈশাখী পূর্ব ঘনায়মান কালো মেঘের
ঘনঘটা,
তুমি উদ্দাম যৌবনের আন্দোলিত সবুজ ধানের খেত,
তুমি বসন্তের সোনাঝুরি মত হলুদ রঙা কর্নালংকার,
তুমি নহ মাতা,নহ কন্যা, নহ বধূ, নহ অসহায়া নির্যাততা- নিপীড়িতা,
তুমি বীরাঙ্গনা ঝাঁসির রাণী, প্রীতিলতা, মাতঙ্গিনী,র্নিভয়া,
তুমি দৈবকী, যশোদা,সীতা মন্দোদরী, রাধিকা,
তুমি সারদা, অহল্যা,মীরাবাঈ, তেরেসা, তেরেসকোভা,
তুমি পৃথিবীর নানা দেশে নানা প্রান্তে নানা রূপে
অপরাজিতা,
তুমি সংসার সাগরের নিবীড় ঊর্মিমালা রূপে বিরাজিতা,
তুমি দূর্গা,কালী,লক্ষী,সরস্বতী শক্তি শিক্ষা ধনদায়িনী আদ্যাশক্তি রূপা।