জীবন যেন মহাভারত
মানব দেহর ছলে
এই কথাটাই এবার আমি
বোঝাচ্ছি সেই বলে!
লক্ষ্যপূরণ করার লাগি
লক্ষভেদের তরে
সেই লক্ষ্যই পাঞ্চালী যে
দেখান অকাতরে!
খোলাচুল আর বাঁধবেনা
দুঃশাসন সে যদি রয়
ঊরুভঙ্গের পনটি করান
ভীমসেনে নিশ্চয়
অপমানের বদলা যদি
পাণ্ডব না লয়
দ্রৌপদীরে হারাবে জেনো
কাপুরুষে নিশ্চয়
দ্রৌপদী সে আর কিছু কি?
প্রত্যয় ও দৃঢ়তা
মানব মনে সঠিক দিশা
দেয়না কি গো, সে তা?
জয়ের লক্ষ্য লাভের লাগি
শত কৌরবেরে
পরাস্ত বা দমন করে
জয় নিতে হয় কেড়ে!
শতকৌরব মানবমনেই
নেতিবাচক নীতি
তাদের দমন করলে তবে
লক্ষ্যপূরণ প্রীত ই!
অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র পিতা
আপন বিচার নাই
পুত্র স্নেহে অন্ধ রাজা
প্রতিবাদ হায় নাই!
ধৃতরাষ্ট্র রাষ্ট্রপ্রধান
শুনেন যা, তাই কন
যেমন মানব মস্তিষ্ক তেমন
আদেশ দিতেই রণ!
মস্তিষ্ক জড় তুল্য
উপদেশ স্নায়ু দেয়
যার সাথে ওই ওতপ্রোত
পাঁচ ইন্দ্রিয় জড়ায়
পঞ্চেন্দ্রিয় পাণ্ডবগণ
ধর্মপথে রয়ে
চক্ষু কর্ণ জিহ্বা ত্বক
ঘ্রাণ সমেত লয়ে
আপন সঠিক পথ বিচারে
রাখলে বটে খোলা
বিধর্মী হয়ে বিপদ ডাকার
শঙ্কা যে যায় ভোলা!
কৃষ্ণ সে তো গুরুসম
সঠিক দেখান পথ
পুঁথির বিদ্যা, ন্যায় ও নীতির
সারথি জীবন রথ!
কর্ণ সে তো জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা
কেন অধর্ম সাথ দিলো?
মনের দম্ভ কর্ণরূপী
জীবনে হারালো!
এরই থেকে যাচ্ছে বোঝা
রূপক এমন করে
মহাভারত মানব দেহ ও মন
কাব্যে রাখা ধরে।