অঘ্রানের নবান্নেতে , খুশির বারতা,
ঘরে ঘরে কর্মে ব্যস্ত, কৃষাণ কৃষাণী।
পাড়ায় পাড়ায় চলে , নবান্ন উৎসব,
গ্রামেগঞ্জে শোনা যায়,আনন্দের ধ্বনি।
নিকায়ে মাটির ঘর , আঙিনার ‘ পরে ,
গোলা দেয় যত নারী , করিয়া যতন।
পুকুরে সারিয়া স্নান , শুচিবস্ত্র পরে ,
ঘরে আঁকে আলিপনা ,মনের মতন।
নূতন ধানের চালে, সাজায়ে নৈবেদ্য,
ফলমূল নানাদ্রব্য , ফুল সমাহারে।
নবান্ন লক্ষ্মীর পূজা , করিয়া সমাধা,
সারি দিয়া বসে সবে , নবান্ন আহারে।
জনপ্রিয় পিঠাপুলি , পায়েস ও ক্ষীর,
পাকন নকশী ম্যারা , গুড়েরই ভাপা।
ধানাপোয়া মালপোয়া, দুধের চিতই ,
ঘ্রাণে ভরে ওঠে পাড়া,যায় নাকো চাপা।
নূতন আবহ এক , সৃষ্টি হয় হেথা,
নাচগান যাত্রাপালা , হয় আয়োজন।
গ্রামে গ্রামে চলে মেলা , মহা সমারোহে,
কেনাকাটা করে সবে ,যাহা প্রয়োজন।
নবান্ন উৎসব গড়ে,লৌকিক আচার ,
কাকবলি বাস্তুদেবে , অন্ন নিবেদন।
অন্ন লয়ে কাক চলে , মৃত আত্মা পাশে,
যাহা পেয়ে আত্মাগণ,পরিতৃপ্ত হন।
নবান্নকে বলে সবে ,হেমন্তের প্রাণ,
যদিও এ উৎসব আজি, অবলুপ্ত প্রায়।
তবুও বাঙালী মনে , আজো এর স্থান,
রয়েছে অটুট হয়ে , প্রাচীন প্রথায়।