নন্দিনী আরজু
লেখিকা পরিচিতি
—————————
নাম : নন্দিনী আরজু
কবি নন্দিনী আরজু রুবির জন্ম বাংলাদেশের পাবনা জেলাতে ১৯৬৮ সালে। উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মী আবুল হোসেন সিদ্দিকী ও গৃহবধূ আলেয়া বেগমের স্নেহের কন্যা রুবির মনে সাহিত্য প্রেম শিশুকালেই জন্ম নেয় মূলত মায়ের প্রচুর গল্পের বই পড়া দেখে । ইন্টারমিডিয়েট শিক্ষান্তে আবুল হাশেমের সঙ্গে বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ হন। ২০১৯ সালে স্বামীর মৃত্যুর পরে এবং তিন পুত্র বড় হয়ে যাওয়াতে সংসার ধর্ম পালনের পরে ছোটবেলা থেকে লালিত বাসনার স্ফুরণ শাণিত কলমের ডগায় স্বাভাবিক ভাবেই চলে আসে । আজ তার অবসর সময়ের সঙ্গী কাগজ- কলম । জীবনপথের ঘাত প্রতিঘাত চড়াই উৎরাই, বাংলার গ্রাম্য জীবন ও সাম্প্রতিক ন্যাক্কারজনক সামাজিক ঘটনাবলী তার কবিতার উপপাদ্য ।

লেখিকার সৃষ্টি

অস্ফুট আবর্তে || Nondini Arzu
অনাথ মুহূর্তের আবর্তে কেটে যায়ক্ষুদ্রতার ঘোর, চোখের ভিতর অজস্র পথের

শুভ্র শোককথা || Nondini Arzu
বৃষ্টি তুমি নিঃশব্দ হও, দেখো —কাশের শরীরে সঞ্চিত শোকের কান্না,বিমর্ষ

দ্বিধাহীন পাড় || Nondini Arzu
লৌকিক ঘোর কেটে গেলে নদীর মুখোমুখি বসিঅথবা মাটির গভীর প্রশ্বাস

ব্যথার সুর || Nondini Arzu
এখনো রাতের আঁধার ছিঁড়ে ব্যথারভায়োলিন বাজে,নিস্তব্ধ চরাচর ছুঁয়ে উঠে আসে,মৌনতায়

নিমগ্ন ডুব || Nondini Arzu
আস্থার ভগ্নাংশে অবশিষ্ট শেষ আলো টুকুনিভে যায়, অবচেতনে মুখ থুবড়ে

পুষ্পিত কলি || Nondini Arzu
পুষ্পিত কলি এখন সকাল আটটা বাজে, আব্দুলপুর ইষ্টিশানে ট্রেন অনেকক্ষণ

পূবের আঁচল || Nondini Arzu
মলিন ধুলোর পা ডুবিয়ে অস্তপারের রবি,ডুবছে বেলা সান্ধ্যরাগে আঁকছে রাতের

উপেক্ষিত সাতকাহন || Nondini Arzu
সব অনিবার্যতা উপেক্ষায় মাড়িয়ে নিঃশেষ,হিজলের দীর্ঘ ছায়াটুকু মুছে– চলে যাবে

দেখা হয়নি বহুদিন || Nondini Arzu
দেখা হয় না অনেকদিন,যেন বহু যুগের ওপারেনষ্ট ঘড়ির কাঁটায় ঝুলে

শরৎ পরি || Nondini Arzu
ময়ূরকণ্ঠি আকাশ নীলে জলহীন মেঘ-ডানায়,শরত এসেছে পরির বেশে ঝরা-হিম জ্যোৎস্নায়।

মুদ্রিত ধ্রুপদ || Nondini Arzu
তিরতির ঢেউ পদ্মার পাড় ঘেঁষে,চিহ্ন রেখে গেছে…আমাদের বিধৌত পায়ের,কালের কোনো

ঘুম ও একগুচ্ছ কবিতা || Nondini Arzu
নিস্তব্ধ দুপুরে নিপাট ঘুমের অলস্যরা উৎসুক!পলকের আধখোলা জানালায় ফিরে ফিরে

মায়া ভ্রম || Nondini Arzu
আড়মোড়া ভেঙে জেগে উঠছে ঘুমের শহর!শুধু পথের ক্লান্তির পৃষ্ঠে চলমান

১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫ || Nondini Arzu
রাত-ভোর তবুও আরও আঁধারেঢেকে যেতে থাকে,নিস্তব্ধ ছায়া সময় ভেঙে…অশনি-ভারি পায়ের

অনিবার্য || Nondini Arzu
চলমান সময় ও সব অনিবার্যতা কাঁধেএগিয়ে চলছে নিয়ত দিন রাত্রি,পথ

আকাঙ্ক্ষার ঝিনুক || Nondini Arzu
কিছু আকাঙ্ক্ষা ঝিনুকের খোলার মতো! শুভ্রপৃষ্ঠে রঙিন আঁকিবুঁকি নুন সমুদ্দুরের

হে নতুন চিরন্তন || Nondini Arzu
তাপানলের আয়েসি হাসি দিগন্তে ঐখই ফোটা রোদ্দুর, দল ছুট মেঘরাশিসুদূর

অবিসংবাদিত || Nondini Arzu
রক্ত-কণায় শিহর জাগায় দৃপ্ত তোমার ভাষণ…মুক্তি জাগে শিরায় শিরায়, প্রাণের

অচেনা তুমি বা আমি || Nondini Arzu
জেগে আছি অনন্ত-ছায়াপথেঅগনিত নক্ষত্রের মতোরাতের এলোকেশী আঁধার চিরেদূরবিন চোখে চাঁদ-ধোঁয়া

শুদ্ধ অবগাহন || Nondini Arzu
আরো এক কোটি বছর তোমাকে দেখবো বলেবুভুক্ষু দুচোখ, অন্তঃক্ষরা জ্বর…ভিসুভিয়াসের

শুদ্ধ অবগাহন || Nondini Arzu
আরো এক কোটি বছর তোমাকে দেখবো বলেবুভুক্ষু দুচোখ, অন্তঃক্ষরা জ্বর…ভিসুভিয়াসের

এখানে জীবন অনিশ্চিত || Nondini Arzu
এখানে জীবন অনিশ্চিত সুমিষ্ট আজানের ধ্বনি আর পাখিদের কিচির মিচির

অন্তহীন অতল || Nondini Arzu
গ্রহান্তরে দীপ্যমান আলো ধীরে ধীরে মুছে যায়,অন্তহীন হৃদয় আকাশে গ্রহণ

পুরনো পৃষ্ঠায় || Nondini Arzu
যাপনের পুরনো পৃষ্ঠা স্মৃতিময় ধুলো উড়ায়,সেখানে বেহাগের স্বরলিপি লেখা ছিলো…লেখা

যাও তুমি সেখানে || Nondini Arzu
আমার আত্মায় নেই উষ্ণতা,উত্তাপ হীন মৃত পান্ডুর।এখানে সীমাহীন শীতলতা বরফাচ্ছাদিত

পথিক এলে কী তবে || Nondini Arzu
দিনের ক্লান্তি শেষে সূর্য ঢলে পড়েসন্ধ্যার ছাঁয়া নামে,তারা ভরা আকাশে

অবক্ষয়ের গ্রাসে || Nondini Arzu
ঘুমায় চেতনা সমাজ অন্ধ স্বদেশ দুর্বিপাকে,অবক্ষয়ের পঙ্কিল ধোঁয়া সর্পিল বাঁকে

প্রজ্ঞাময় শপথ || Nondini Arzu
বিজয়ের প্রদীপ্ত দিন আসেমুখরিত জয়গানে, রংফানুসের ঝালরে,শান্তির বারতায় শ্বেত পায়রা

দ্বিধাহীন উপেক্ষা || Nondini Arzu
খোলা জানালা টপকে মোহন আকাশ,ছড়িয়ে পড়ে মেঝের উপর,দেওয়ালের দিনাঙ্ক সব

দর্পণ || Nondini Arzu
পুরাতন দর্পণ ক্ষয়ে গেছে পারদের প্রলেপ,আঁকিবুঁকি আবছা দাগ,একদা স্বপ্ন দেখেছিলাম..ছবির

ফিরে দেখা || Nondini Arzu
চল্লিশ পেরিয়ে এসেছি সেই কবে মনে নেই আজ,,চুলে কাশফুলের শুভ্রতার

শরৎ পরি || Nondini Arzu
ময়ূরকণ্ঠি আকাশ নীলে জলহীন মেঘ-ডানায়,শরত এসেছে পরির বেশে হিমঝরা জ্যোৎস্নায়।

অসীমের স্পর্শ || Nondini Arzu
প্রিয় হাসি মুখগুলো ছবি হয়ে ঝুলে থাকে,আকাঙ্ক্ষার পালক ওড়ে স্মৃতির