আমরা নারী, নারী ভালোবাসলে না কি নদী হয়ে যায়!
সবকিছু মেনে নিয়ে, মানিয়ে নিয়ে বয়ে চলে বুকে রঙ-বেরঙের পাথর নিয়ে!
নদী যেমন নীরবে বয়ে যায় কোন অভিযোগ না করেই।
আমিও চুপ থাকতে শিখে গেছি কোন অভিযোগ না রেখেই!
শিখে গেছি একাকিত্ব কে জড়িয়ে ভালোবাসতে!
আবদার,অভিমান শব্দগুলি যে অভিধানে আছে,
সেই কবেই ভুলে গেছি! সবকিছু মনের মতো হবে এমনটাও ভাবি না কখনও।
খুব ছোট্ট করে ভাবি! অল্পতেই খুশি থাকি!
ভবিষ্যতে কি হবে জানি না!
কাল কি ভাবে পথ চলবো তোমার দেওয়া দুঃখ টুকু কুড়িয়ে,
সামনের দিকে এগিয়ে যাবো শুধু সেটুকুই ভাবি!
জীবনের পথে চলছি। হোঁচট খেয়ে উঠে দাঁড়াচ্ছি।
চোখ ছলছল, তবুও হাসছি, সবেতেই হাসি মাখি!
যা হারাবার ছিল, হারিয়ে ফেলছি, জানবো তা কোনদিনই আমার ছিল না।
চিৎকার করছি না।
আকুতি মিনতি করছি না।
তোমায় পায়ে পড়ে গিরগিরাচ্ছিনা।
নদীর যেমন দেশ নেই, ঘর নেই,
সব্বাইকে তার কোলে আশ্রয় দিলেও,
তার মাথার ওপর কোন ছাদ থাকতে নেই!
মেয়ে বেলায় জানতাম বাবার বাড়ি টাই আমার বাড়ি!
বড় বেলায় জানলাম, তোমার বাড়ি মানেই আমার বাড়ি।
তারপর জানলাম কোন বাড়ি টাই আমার ছিল না কোন দিন!
আমি কোন জলাশয় বা, পুষ্করিণী নই।
খরস্রোতা নদী হয়ে একবুক পাথর চাপিয়ে,
বয়ে চললাম ভয়ঙ্করী রূপ নিয়ে একুল ওকুল ভাসাবো বলেই!