না, এ কোনো শোকগাথা নয়,
তুমি প্রবহমান নদীর মত হাজার বছর ধরে
পথ চল ;
আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ ওঠে
চাঁদ ডুবে যায়,
ভোরে ঘাসের ওপর শুভ্র শিশিরের বিন্দুরেখায় দ্যুতিময় আলোককণা
সোনালি রোদের কিরণে
সেভাবেই বিচ্ছুরিত হয়।
তুমি কিছুই জানো না,
তুমি ঘুমিয়ে আছ
তোমার চিবুক স্থির, রক্তঝরা চোখ দু’টি
আজ কিছুই দেখে না,
এক ক্লান্তির ছায়া জড়িয়ে আছে সমস্ত শরীর।
নশ্বর এই জীবন যেখানে মূল্যহীন,
মৃত্যু যেখানে তুচ্ছ
কর্মযোগের ব্যপ্ত চরাচরে বিচরিত
কায়িক জীবনের পাওয়া না পাওয়ার হিসেব নিকেশ
আর গভীর মূল্যবোধের অসীম শূন্যতায় ভাসমান
তোমার যাবতীয় সুখ-দু:খ ,আনন্দ উচ্ছাস
নির্লীপ্ত পৃথিবীর আকাশ পথে আজ বিলীন,
তুমি আজ ঘুমোও
সহস্র রাত ধরে শান্তিতে ঘুমোও
আমি পাহারায় জেগে র’ব
সহস্র রাত ধরে পাহারায় জেগে র’ব…
কলকাতার সব ক’টা পথে আজ বৃষ্টি, অথৈ বৃষ্টি ,ঝড়ের দাপট,
বিচ্ছিন্ন কলকাতা দুহাতে চন্দন কাঠ
জ্বেলে দিয়ে পোড়াতে চেয়েছিল
তোমার শরীর ,পারেনি
আগুনের আঁচ তোমার শরীর ছোঁয়নি, ছোঁয়েছে আমাকে,
ছোঁয়েছে হাজার আমাকে
সেই আগুনের স্ফুলিঙ্গ আজ
ছড়িয়ে পড়েছে আকাশে বাতাসে ,
আর শিশির কণার বিচ্ছুরিত আলোর মত ছড়াচ্ছে দিকে দিকে,
এসময় তুমি একটু শান্তিতে ঘুমোও
আমরা পাহারায় আছি,
স্বপ্ন দেখো এক আলোকিত
নিটোল নতুন ভোরের !