নতুন জুতো
এই বুড়ো! রিকশা যদি না টানতে পারো তো রাস্তায় বেরিয়েছো কেন?ঘরে বসে আরাম করলেই তো পারতে। বেরোনোর দরকারটা কি বাপু! এমনিতেই বৃষ্টিতে আজ ভিজে গেছি। মাসিমার খ্যাঁকানি শুনে সুকুমারের চমক ফেরে সত্যিই সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে সে একটু অন্যমনস্ক হয়ে গেছিলো।
বয়স একটু প্রৌঢ়ের দিকে গেলেও এর মধ্যেই চেহারা টা ক্লিশে হয়ে গেছে, তাতে তাকে বুড়ো বলে মনে হয় না। যাইহোক সে একটু ঘাড় নেড়ে রিকশার প্যাটেলে পা দিয়ে গতি বাড়ায়। আজ একটু বেশিই ভোরে বেরিয়েছে সে।
ছেলেটা একটা জুতোর বায়না ধরেছে। ভালো জুতো নেই বলে স্কুলের দিদিমণি কয়েকদিন ধরে খুব বকাঝকা করে। ভয়ে আজ সে স্কুল যাবেনা বলেছে। নিজে লেখাপড়া শেখেনি কিন্তু ছেলেটাকে লেখাপড়া শেখানোর বড় সাধ তার। কিন্তু স্কুলেও আজকাল এটা ওটা কিনে দেবার কথা লেগেই থাকে। অত দামি জুতো কিনে দেওয়ার জন্য চাই অনেক টাকা।তবুও চেষ্টা করে ছেলেটাকে জুতো কিনে দিতে হবে।
“এসে গেছি দিদিভাই” বলে সওয়ার মহিলাকে নামতে বলে সুকুমার। টাকাটা হাতে নিয়ে রিকশা ঘোড়ায় সে। কালকে না হয় দুটো আধপেটাই খাবে, ভাবতে ভাবতে সে জুতোর দোকানের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে।