সত্যচরণ মরেছিল বজ্রাঘাতে
ঝড়ের রাতে টিনে পলিথিন গুঁজে।
কাঠ কাঠ দেহ শূণ্যে ঝুলে ছিল ক্ষণকাল ,
যেমন ঝুলে থাকে বাদুড়ের দেহ,
ভূত প্রেত কিংবা পিশাচের মত!
ভার্ৎসণা করেনিতো কেউ
শুধু ঠোঁট উল্টে হেসেছিল প্রেতাত্মা!
এক বান টিন, কত তার দাম?
অলস অকর্মণ্য কামলা সত্যচরণ,
বিঁড়ির ধোঁয়ায় যার উড়ে যেত রাশিরাশি সুখ।
জটা বুড়ি মরেছিল কাঠফাটা রোদে,
মৃত ভেকের মত আকাশের দিকে চেয়ে।
গ্রাম ছেড়ে গ্রাম, ভেকের মতোই থপথপ পায়ে,
কুক্কুট চলেছিল শস্য ছড়ানো পথে।
মোটা -সরু লালচে ও সাদা,
সব জাতি ধর্ম বর্ণ মেশা ভিক্ষার কাঁকর
তুলাদণ্ড দুলে গেল ভিক্ষার ভারে।
মুজিবর মরল দেশ ছেড়ে ভীনদেশে,
দেশ নয়, সে এক ঝলসানো রুটি ।
ঝলসানো রুটি পুড়ে পুড়ে তেতো বিষ!
থরে থরে সাজানো মুজিবরের গল্প
মরচেধরা রুটি পিঞ্জরে তালাবদ্ধ।
কথা ছিল, রাত জেগে আমিনাকে
জ্যোৎস্নালোকের গল্প শোনাবে ,
কবরে শায়িত মুজিবর ফিসফিস রূপকথা কয়।
আকাশের কোণ ঘেঁষে অবশিষ্ট একফালি চাঁদ
শুক্লপক্ষ যাপনের শেষে মৃতপ্রায় শুষ্ক ঠোঁট!
ভয় নয়, নেই কোন আক্ষেপ,
এ-তো নিত্য যাওয়া আর আসা,
নদীর এপার ছেড়ে ওপার, ডুব সাঁতার খেলা।
খসে পড়া এক নক্ষত্রের মৃত্যু!
আলুথালু ঘরদোর, ছুটে চলি নক্ষত্রের মত,
বহুবার যারে দিয়েছি ঠেলে!
নক্ষত্রেরা ফেরেনি জন্মান্তরে,
আস্তিক মন ভেঙে চুরচুর,
অবিনশ্বর বলে কেউ ছিল না কখনো।