“দ্বার খোল, খোল দ্বার, রাত্রির প্রহরী !”
—কেঁদে কয় হতভাগ্য নিঃস্বন্বল মানবের দল,
কেঁদে কয় দিকে দিকে নিযুত জীবন |
অন্নে যে ভরে না বুক,
তৃষা যে অতৃপ্ত থেকে যায়,
প্রাণ আলো চায় !
শূন্য ক্ষণগুলি
অকাজের সহস্র জঞ্জালে ভরিয়া তুলিতে নারি,
আর ভালো নাহি লাগে |
দ্বার খোলো হে প্রহরী,
আনো নব ঊষালোক,
সঞ্জীবিত কর আজ নূতন অমৃতে,
নব-সৃষ্টি-গুঞ্জন-মুখর, ধরাতলে জন্ম দাও |
মোর মাঝে কোন্ প্রাণ-মহানন্দ
ছুটিয়াছে অন্তহীন অসীমের লাগি,
তাহারে চিনাও |
আবর্ত্তে ঘুরিয়া মরে অন্ধ মোর বন্ধ প্রাণধারা,
বেদনায় সারা,
তাহারে দেখাও পথ—
দ্বার খোল, খোল রাত্রির প্রহরী !
শুনেছ কি, শুনেছ কি অন্ধকার রন্ধ্র করি’
আলোকের আর্ত্তস্বর, কাঁদে প্রতি তারকায়
কাঁদে সারানিশি !
তারে মুক্তি দাও |
যাহা আছে তাহা আছে ঢাকি,
যাহা পাই ভার হয়ে থাকে—
সত্যেরে চিনিব কোন্ ফাঁকে ?
হে প্রহরী, হানো অসি নিশার মরমে,—
যুগ যুগান্তের এই সঞ্চিত আঁধার কেটে যাক্
বেদনার উষ্ণ রক্তধারে ;
রক্ত-পারাবার হতে উদ্বোধন হোক্ আজ নূতন ঊষার |