শরীরের প্রতিটা ক্ষত অঙ্গ লুকিয়ে রেখেসে নিশ্চুপ মায়ার বীজ পুঁতে…

যখন নিশ্চিত জিতে নেবো আসমানঝড় এসে ভেঙে দেয় ডানার আত্মবিশ্বাস

কোন এক মেঘ নদীর ঘাটেহলুদ পাঞ্জাবি পরে আজও দীপ অপেক্ষা

একটা সিঁড়ি ভুল হয়ে গেলেপিছিয়ে পড়ে গাছ ডাল পালায় তার

দীর্ঘ পরিশ্রমের পর মাঠে হলুদ রঙ ধরলেমন বড় উতলা হয়

কারণ যা হোক না কেনমন খারাপ কে দুই ভাগে ভাগ

কয়েকটা এলোমেলো কবিতা নিয়ে সেলাই করতে বসিভুল হয়ে যায় সুতোর

গলার ভেতরআগুন টুকরো ও বরফ সন্দেশ এভাবেই ঋতুগুলো নাগরদোলা হয়আদিম

ছেলেটার কোনো গোলাপ দিন নেইনেই চকলেট দিন সারাদিন এ রাস্তা

তোমার জন‍্য নীল আঁকি রোজহাতের ভাঁজে ফোটায় রঙ গোলাপব‍্যস্ত সময়

আপশোস হীন কোনো মানুষ নেই পৃথিবীতে আমারও ভীষন আপশোস থেকে

আজ পনেরো বছর পরতোমার শহড়ে গেলাম অন‍্যখানে দেখা হয়েছে যদিওসে

একটা সকাল-যোগাসনের মধ‍্যে দিয়েবড্ড সবুজ ও সুন্দর হয়ে ওঠে। মনের

তারপরএই ধূলোর আস্তরণ সরাতে সরাতেকখন যেন দৌড়ের সমাপ্তি ঘটে অথচহীরে

তুই হাসলে গালে পদ্ম ফোটে আরো ভালো করে দেখলেতুই নিজেই

তাহলে…কয়েকটা নতুন আলু পুড়িয়ে খেতেই হয়কারণ কয়েকটা রাতের কথা ভুলে

গাঢ় অসুখ করলেওঅন্ধকার থেকে রঙ বেছে পিরিচে রাখি। চাঁদের গা’য়ে

বাতাসিয়া মনটা কে চার্জ করে নিইজিবাকের কিছু কবিতা পড়ে সূর্য

শীত সবজির মতোএকটা কবিতা লিখতে চেয়েছিসেই কবে থেকেই আকাশ যখন

শব্দগুলো কে রোদের ধার দিতে দিতেভুলে যায়নদীটা আমাকেঅনেক আগেই আসছি

তোমার চোখে শাপলা ফোটে আজওবয়ে যায় এক ইচ্ছে রঙ ঘুড়িতোমার

সকালের মুখে রোজ হলুদ মেশাোনো দুধ ঢালিদিনের গায়ের থক থকে

একেকটা দিনজীবন চিনতে শেখানোর জন‍্য জন্ম নেয়একেকটা দিন শোক ভুলবার

পাহাড় থেকে গড়িয়ে গিয়েছে সাপঠিক যতটা আমার মনখারাপ তারপর আরো

কয়েকটা অন্ধকার আমার দিকে এমন ভাবে এগিয়ে আসেযেন মনে হয়(আমার)

সমাজ সংসারের মুখের সামনেমাটির ভাঁড়ে ঘন মালাই চা ধরলাম।কি ভীষণ

আমার এ শহর আঁকবে ছবিচোখ মেলে থাক কিছু মাটির নিঃশ্বাসবাতাসে

ফুলের শিকল দেখেদোলনা ভেবেযেই কাছে এসেছি অজস্র দাঁত নখ বেড়িয়ে

ওপারের অহংকারের জ্বর বাড়লে…দেহের ভেতরের খোলা জানলাগুলোআত্মহত্যা করে মুখ-টবের প্রিয়

সামনে এক আকাশ সমুদ্র ঢেউ ভাঙছে গড়ছে যুগচুল গুলো বট

মৃত্যু পছন্দ করলেও শীত নয়সে মৃত্যুর চেয়ে ভয়ানক দাঁত দিয়ে

নষ্ট রাতের মতো কিছু নিঃশব্দের শব্দ আছেযাদের জন্য মাঝে মাঝে

আয়নার সামনে দাঁড়ালেমুখের স্বরলিপি ক্ষতবিক্ষত প্রয়োজন কৌটোগুলো ভরতে ভরতেশব্দ গুলো

কয়েক পৃথিবী আগে তোমাকে দেখেছিসেই কয়েক পৃথিবী আগেবহু ঝড়ে মুছে

যারা সিঁড়ি বাানিয়ে হারিয়ে যায়তাদের জন‍্যএকটা চারা পুঁতে রাখিমনের বুকে

তোমায় দিলাম লক্ষ আকাশ পেড়েগুছিয়ে নিও নিজের মতো করে টুকরো

নীল আকাশের দুটি তারাহাসি গল্পে জাগায় পাড়া ওদের নিয়ে বলব

আমি যে কতো যুদ্ধ করিসব কি তোমায় জানতে দিইআমার যে

কতগুলো রঙ ধুয়ে গেলেএকটা নিরেট রাতের জন্ম হয় বেশ জানি

তোমার আমার হাজারো সংলাপছড়ানো আছে শালিক বুক মাঝেদিন রাত্রি যুদ্ধ