দেশের মাটির কথা বলতে চোখে আসে জল ভরে,
জন্ম নিলাম মায়ের গর্ভে দেশের মাটির পরে।
হা-টি-হা-টি পা-পা-করে প্রথম শেখা চলতে,
মাটির কোলে গড়াগড়িতে ‘,মা’ ডাক শিখি বলতে।
দেশের স্নিগ্ধ হাওয়া শীতল জলে ক্রমে বেড়ে ওঠা,
ফড়িং ধরতে ফুলের বনে দুরন্ত সে ছোটা।
পুকুর থেকে তুলে আনা জার্মানী ফুল দিয়ে,
মাটি দিয়ে ব্যস্ত নকল রান্নাবাটি নিয়ে।
দেশের বাড়ি ,দেশের মাটির তুলনা কোথাও নাই,
আম-লিচু, কাঁঠাল,জামে ভরা ছিলো ভাই।
গাছে চড়ে পাকা ফল দারুণ মজা খেতে,
মায়ের বকুনি খেয়েও খুশি ছিলাম আহ্লাদে তে।
ধানকাটা শেষে ওই শুকনো মাঠের পরে,
হুল্লোড়ে তে কতো খেলা বিকেলের হাত ধরে।
মাটি দিয়ে খেলনা গড়ার ছিলো প্রতিযোগিতা,
আজকের দিনে মাটি নিয়ে খেলার ভাবনাটা অবিমৃষ্যকারিতা।
দেশের মাটির আঁচল ছায়ায় মায়ের গায়ের ঘ্রাণ,
ঘুচায় শ্রান্তি মুছায় ক্লান্তি জুড়ায় মনপ্রাণ।
দেশের মাটি অতি খাঁটি সোনার চেয়েও দামী,
প্রণাম আমার মনে মনে পাঠাই দিনযামী।