যুগ যুগ ধরে ধ্যানমগ্ন ঘোরে ধূর্জটি হিমালয়
চেয়ে আছে দূরে তারার আকাশে কি দারুণ বিস্ময়!
ধ্যান ভাঙে তার বারবার কতো ভ্রমণ বিলাসী অভিযান,
বিলাসী ভ্রমণে কলরবে গানে কলুষিত করে দেবস্থান।
ভক্তি নয়কো দেখনদারিতে ব্যর্থ হয় যে শুচি স্নান,
ক্রুদ্ধ দৃষ্টি হানে হিমালয় ক্ষ্যাপা দুর্বাসা মুনি সমান।
অলকানন্দা , ধৌলিগঙ্গা বহে যায় বামে দক্ষিণে
অস্থির হয় হিমালয় কতো কদর্যতর অভিযানে।
যুগ যুগান্তের প্রবেশ দ্বার আজও সেই জোশীমঠ
তীর্থযাত্রী, ধর্মপিপাসু সাধু সন্তের আবাস বট।
চার ধামে যায় কেদার বদ্রী সাধনপীঠ ও তিতিক্ষার
বিপথগামীরা ফিরে চলে যাও এ পথ হয়তো নয় তোমার।
যুগ বদলায় কালচক্রে আসে বিপদের ঘটা বিষম ঘোর
বিলাসী পথিক দখল নিয়েছে নির্জনতার শেষ প্রহর।
ধরমশালা ও চটির বদলে বিলাসী হোটেল যত গজায়,
চাহিদা মেটাতে বিদ্যুৎ আসে ডিনামাইটের প্রবল ঘায়।
জোশীমঠ কাঁপে মৌনী তাপস হিমালয় কোথা ধ্বসে যায়,
অশনি ঈশারা আকাশে বাতাসে হৃদয় কাঁপিয়ে ধ্বস নামায়।
ভ্রমণ বিলাসী অভিজাত শ্রেণী বিলাসী হোটেল রিসর্ট চায়,
দেবতাত্মার হিমালয় কাঁপে অত্যাধুনিক অশুচিতায়।
বিপন্ন হয় চারধাম আর জোশীমঠ কোথা তলিয়ে যায়
লক্ষ লোকের প্রাণহানি ঘটে কারো ভ্রূক্ষেপ নেই সেথায়।
দূষণের দায় ঝেড়ে ফেলে দেয় মুনাফার লোভ মানুষ চায়
প্রকৃতি নিধন কর্মসূচিতে পরিবেশ কতো বিপন্ন হয়।
রোষে ফুঁসে ওঠে গিরিরাজ সেথা ধ্বংস নাচন যজ্ঞ হয়
নটরাজ নাচে প্রলয় নাচন হিমালয় ধ্বংস হয়ে যায়।।