ভয়ংকর দুঃস্বপ্ন শ্বাপদের মতো গহীন রাতে-
অদৃশ্য ডানায় নেমে আসে আমার ক্লান্ত দুচোখে।
ফুরিয়ে যায় জীবনের যত কবিতা,ক্ষত-বিক্ষত দুইপায়ে –
এগিয়ে চলি মিছিল ,মিছিলে অধিকার প্রত্যাশায় ।
প্রতিবাদের মোমবাতি নিভে যায়, অর্বাচীন সময়ের হাওয়ায়।
মহানগরীর বুকচিরে বয় রক্তের প্লাবন,স্রোতে ভেসে যায় অস্তিত্ব –
বিমূঢ় বাতাস গুমড়ে ওঠে মৃত্যুর করাল ছায়ায় ……।
তবুও কারা যেন লিখে যায় কবিতা, প্রতিশ্রুতি পালনে।
আজ ক্ষমতার দম্ভে, বাহুবলির আত্মম্ভরিতায় জ্বলছে – মানবিকতার হৃদপিন্ড,মগজ এখন লোভপোকার দখলে।
বিপ্লব,প্রতিবাদ নির্বিজ,শান্ত । প্রত্যয়ি মতাদর্শ এখন কবরে,
ঘুমভাঙ্গা সকাল ধমকায়, চমকাই খবরের কাগজে।
অসহায় পৃথিবী অহরহ রং বদলায়,গিরগিটি চারপায়ে ছোটে,
আজ প্রেমের খাল শুকিয়ে গেছে ,স্বার্থের চুম্বন ঠোঁটে।
সম্পর্কের দেওয়ালগুলো একে একে ধ্বসে পড়ছে,
স্মৃতির আঙিনা বড়ই অচেনা,স্নেহ,ভালোবাসা পুড়ে,পুড়ে হচ্ছে ছাই।
যে জন্মগুলো স্বস্তি জাগাতো,ভবিষ্যতের সান্ত্বনা জোগাত বুকে-
আজ তার গর্ভকোষগুলো দূষিত,অপবিত্র, ছিন্নভিন্ন অতিভোগে।
আধুনিকতার কসাইখানায় যৌথসম্পর্ক রক্তাক্ত,
হাসি-কান্নার হাঁড়ি, কড়াই বহু অধিকারে বিভক্ত।
নীরবে দাঁড়িয়ে পৃথিবী আর কত মজা দেখবে
আর কতকাল দাঁড়িয়ে থাকবে নির্লজ্জ,কুৎসিত মুখে ?