দীপাঞ্জলী বিশ্বাস
লেখিকা পরিচিতি
—————————
নাম : দীপাঞ্জলি বিশ্বাস
দীপাঞ্জলি বিশ্বাসের জন্ম ১৯৮৭ সালে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগ্রামে। ছেলেবেলায় প্রকৃতির খুঁটিনাটি দেখতে শিখিয়েছিলেন বাবা। মায়ের মুখে শুনেছেন বিবিধ রূপকথার গল্প। সেই প্রকৃতি দেখা আর কল্পকথা পরবর্তীতে কবিতা হয়ে ভিড় করতে লাগলো মনের পাতায়। প্রথম কবিতা একাদশ শ্রেণিতে পড়াকালীন। পাড়া বেপাড়ার বিভিন্ন পত্রিকায় চলছিল লেখালেখি। বিশিষ্ট কবিদের অনুপ্রেরণায় সাংসারিক ব্যাস্ততার মাঝেও কাব্য রচনা অব্যাহত।বর্তমানে জেলার নানা পত্রিকায় লেখালিখি করেন। সাংসারিক ব্যাস্ততার কারনে যতবার প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়ে কাব্যরচনায় ছেদ পড়েছে, ততবার মুগ্ধ পাঠক, অনুরাগীদের অনুরোধে ফিরে এসেছেন কবিতার দরবারে। কবিতা রচনার পাশাপাশি আবৃত্তি চর্চা ভীষণ পছন্দের বিষয় দীপাঞ্জলির। তিনি সাহিত্যচর্চায় ব্রতী থাকতে চান নিরন্তর।

লেখিকার সৃষ্টি

বেগুনি ফুল || Dipanjali Biswas
শুনশান চরাচরকুন্ডলী পাকিয়ে ওপরে ওঠে ধোঁয়া… নীচে কচুরিপানায় ভরা মরা

জলছবি || Dipanjali Biswas
জলছবি ধরা থাকে তারায় তারায়জল বেয়ে নেমে আসে পাতার ধারায়নেমে

একটা জীবন || Dipanjali Biswas
একটা জীবন শুকিয়ে যায় সূর্যতাপেবুকের ভেতর ধড়ফড়ানি রক্তচাপেতৃষ্ণা খিদের নির্ঘুম

বিস্ফোরণ || Dipanjali Biswas
বাতানুকূল ঘরে সৌন্দর্যের সাধনা চলে।দক্ষ ও অভিজ্ঞ হাতে তীক্ষ্ণতা পায়

অকারণ || Dipanjali Biswas
জানি তুই দূরেবেহাগের সুরেতোকে খুঁজি রোজ স্বপ্নের পুরে পুড়ে যায়

নীলাম্বরী || Dipanjali Biswas
প্রতিবার ঝরে যায় পালক…ডানা ঝাপটানোর মৃদু আওয়াজ কানে পৌঁছাবার আগেই

অগোচরে || Dipanjali Biswas
একটা সোনার হরিণ কেবল ছুটিয়ে নিয়ে যায়!নিঝুম অরণ্য জুড়ে কেবল

ক্লান্তিবিহীন || Dipanjali Biswas
তবুও একা পথ চলি রোজ ক্লান্তিবিহীনজীবনপুরের বাতাস আলোয় একবুক ঋণ!

নামহীন || Dipanjali Biswas
রংহীনবিবর্ণ নিবেদনজমে থাকা দায়ভারছেড়ে যাওয়া সব সংগ্রামহতাশার পারাবারনোনা উপকূলকাঁটাবন.. ছবিহীনবহু

বেড়াজাল || Dipanjali Biswas
হাওয়ায় উড়ছে ছেঁড়া স্বরলিপি গুঁড়ো ইচ্ছের ধুলোকংক্রিটে মোড়া পথের ওপর

ব্যবধান || Dipanjali Biswas
হাওয়ায় উড়ছে ছেঁড়া স্বরলিপি গুঁড়ো ইচ্ছের ধুলোকংক্রিটে মোড়া পথের ওপর

অস্তাচলে রবি || Dipanjali Biswas
পাথুরে দেওয়াল চোখ মেলে নাআবেগে খেয়ালে আর খেলে নাপাথর চোখের

উড়ো শব্দ || Dipanjali Biswas
উড়ো শব্দেরা এখন আর জ্বালায় না সান্ধ্য বাতি-ওদের এখন প্রভাত

রোদের আমন্ত্রণে || Dipanjali Biswas
একটা রোদের প্রান্তর কেবল বন্ধুত্বের হাত বাড়ায়।রোদ! রোদ! কেবল রোদ!কোথাও

ভোরের অপেক্ষায় || Dipanjali Biswas
প্রলয় রাতের আঁধার ডাকে আমাকে দেখ আয়আর কত ব্যথা গুনবো

অনেক দূরে || Dipanjali Biswas
দূরে দূরে অনেক দূরেআদৌ কোথায় কত দূরে?কাছেই আছি এক্কেবারেসুরের দেশেই

স্মিতহাসির মরুদ্যানে || Dipanjali Biswas
মন্দিরে মূর্তিতে ছবিতে তোমাকে খুঁজেছি নিরন্তর!করজোড়ে ডেকে ডেকে তোমাকে জাগাতে

রক্ত পলাশ আর এক গাংচিল || Dipanjali Biswas
আর কত রক্ত চাও তুমি?হ্যাঁ , আমি তোমাকেই বলছি- ভালো

নোনাধরা সভ্যতা || Dipanjali Biswas
কতটা বাষ্প বাতাসে মেশালে নদীর বুকে পড়ে থাকে কেবল শিলা!তার

অসম্পূর্ণা || Dipanjali Biswas
পূর্ণর মাঝে অপূর্ণ কিছুকিছু বেশি কিছু কম!জনসমাগমে শত কলরবেবাসর আজ

শেষ বজ্রপাতে || Dipanjali Biswas
বহুদিন ধরে মেঘ জমে ছিল।হয়তো তা ছিল পূর্বাভাস –কালবৈশাখীর-কিংবা অসময়ে

শিশুদিবস || Dipanjali Biswas
মাঠগুলো সব কোথায় গেলকোথায় সবুজ ঘাস?হোমটাস্কের খাতায় বন্দীখেলার অবকাশ! নিত্য

জোড়াতালির চাঁদ || Dipanjali Biswas
একদিন শাপলা ভরা পুকুরের জলে সাঁতার কাটতো হাঁস…সবুজ ঝোপ জঙ্গলের

রং বসন্ত || Dipanjali Biswas
আজ আবার ছুঁলো ফাগুন হাওয়াতৃষিত হৃদয় কূলে,রং বসন্তে ফুলের কুড়িরাহাসলো

অপাঙক্তেয় || Dipanjali Biswas
তোর দুর্মূল্য পঙ্ক্তিমালায় যা কিছু আবর্জনা আছে তা অপাঙক্তেয় হয়ে

পোশাক || Dipanjali Biswas
লজ্জা নিবারণের তরে পোশাক শুধু!স্লিভলেস টর্ন কিংবা ব্যাকলেস…ব্যস… পোশাক হলেই