বুকের মধ্যে ধুকপুকুনি টা নিজেই শুনতে পাই,
উপায় তো নেই দোকান বাজার নিজেই করতে যাই।
একটা শ্রেণীর খিদে মরে যায় আর এক শ্রেণীর ঢেকুর,
বিষাদ দুপুর এলানো বিকেল সময় তো সুপ্রচুর।
প্রিয় পৃথিবীর অসুখ করেছে বিষ বাতাসেতে ছেয়ে,
আজকে আমারও মন ভালো নেই ভুখা পেটে আছি শুয়ে।
বাইরে বেরোনো বন্ধ তাইতো জানালায় বসে থাকি,
চশমার কাঁচে ঝাপসা দুনিয়া কার কথা বসে ভাবি।
কিছুতেই ছাড়া পাওয়া যাবে নাকো যতই চেঁচাতে থাকি,
ফিতে নেই তাই দূরত্বটাকে মনে মনে মেপে রাখি।
চায়ের পেয়ালা নিশ্চুপ ঠোঁটে হয়রানি চা তো নেই,
মুদির দোকান খোলা আছে বটে বেচবার লোক নেই!
ক্যালেন্ডার তো ঝোলানো রয়েছে দিন গুনে কিবা হবে,
হাত ধুয়ে ধুয়ে হাত গেলো ক্ষয়ে সাবান ফুরালো কবে!
বেলাগাম নাকি সব ঠিকঠাক চলছে যে দুনিয়াটা,
আমি একা আছি তুইও একাকী জানি জীবনটা ফাঁকা।
গল্পটা শুরু কোথায় করেছি দুঃস্বপ্নের রাতি,
বিষাদ বিভোর সুর কেটে যায় নিভে যায় মোমবাতি।
আকাশটা তবু লিখে রাখে তার হিসেবের আঁকিবুঁকি,
চাঁদ তারা সেই একই রয়েছে আমরা পড়েছি ফাঁকি।
পুবের আকাশ লাল হবে কিনা বলবে আগামী ভোর,
বন্ধ দুয়ার খুলে যাবে কিনা সেই ভেবে রাত ভোর।
খবর এখন শুনতে চাই না হই আরও দিশাহারা,
মৃতের মিছিলে গোটা দুনিয়াটা হয়েছে আত্মহারা।
যুদ্ধ যুদ্ধ খেলছে সবাই প্রতিহিংসায় পুড়ে
অসহায় শিশু নারী ও বৃদ্ধ যুদ্ধ আগুনে পোড়ে,
ভ্রুক্ষেপহীন দুনিয়া ভুগছে চড়া মাসুলের ফেরে
দিশাহারা লোক নিজের অজান্তে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।।
আকাশে বোমারু বিমান মাটিতে কামানের গোলা ফাটে
বাদ যায় নাকো নিষিদ্ধ স্থান সব কিছু তছনছ
কে আগে মেরেছে কে কতো মেরেছে সে হিসেব তোলা থাক
শান্তি নোবেল প্রাইজ কে পায় অপেক্ষায় দেখা যাক।।