রতনবালা জানেনা মুজনাই নদীতে আর কত পাথর আছে
আর কতকাল তাকে পাথর কুড়োতে হবে
সে জানেনা বি পি এল তালিকা কী
সে বোঝে না সহায় প্রকল্প কাকে বলে,
পরিবর্তন, প্রত্যাবর্তনের শ্লোগানও
তার জানা নেই।
সে জানে বাঁচার জন্য দু’মুঠো ভাত
ভাতের জন্য পাথর কুড়োতে হবে।
রতনবালা তার বয়সের হিসেব রাখেনা,
মুজনাই নদীতে আজ পাথরের ভাটা
ন্যুব্জ শরীরে আর কতকাল এভাবে চলতে হবে
সে জানে না ,
সে জানেনা প্রতীক্ষার ক্ষণ কেমন গাঢ় অন্ধকার হয়
সে জানেনা প্রতিবাদহীন নশ্বর জীবন
ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কেমন বিলীন হয়ে যায়,
সে জানেনা পাথুরে স্তব্ধতার আড়ালেও
বন্য ফুলেরা অযন্তে কেমনে ফোটে?
সে জানে শুধু দিনের শেষে রাত দীর্ঘ হয়
আর অর্ধাহারে শু’য়ে শু’য়ে রাতের
আকাশে নিষ্পলক চেয়ে থাকতে তারার পানে,
আকাশের তারা দেখতে দেখতে সে ভাবে
তারাগুলো যদি কখনো নেমে আসে
মুজনাই এর খরা বুকে
আর ফুটে ওঠে শত সহস্র চিকনাই পাথর হয়ে ,তা’হলে
তা’হলে , নিশ্চয় তার দিন বদলাবে।
এভাবেই শতাব্দীব্যাপী হাজার হাজার রতনবালারা
স্বপ্ন নিয়ে বাঁচে আর স্বপ্ন নিয়েই হারিয়ে যায়।