Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » দিদিমাসির জিন || Bani Basu » Page 11

দিদিমাসির জিন || Bani Basu

শীতের লম্বা বেলা। কাজলরেখা বারান্দায় দাঁড়িয়ে তার চুলের জট ছাড়াচ্ছে। দেখতে পেল অনীক ফিরছে। যেন বিধ্বস্ত সাবমেরিন, চুলে চিরুনি পড়েনি। জিনস-টিনস যেন সব দোমড়ানো মোচড়ানো, পেছনে যে ব্যাগটা ঝুলছে, সেটা যেন কতকাল মাটিতে পোঁতা ছিল। বার করে এনেছে। কাজল আপন মনেই বলল— বাব্বাঃ, মেলা দেখে ফিরল না তো যেন যুদ্ধে হেরে ফিরল।

এমন সময়ে মোড়ের মাথায় আরও কয়েক মূর্তি দেখা দিলেন। গোপাল, একে কাজলরেখা আগেই হাড়ে হাড়ে চেনে। এর ঝুলপি আরও ঝুলেছে। দাড়িতে গোঁফেতে মুখটা একেবারে যাচ্ছেতাই নোংরা হয়ে আছে। একটা উইণ্ডচীটার পরেছে, তার বুকের জিপার খোলা। একে বেঁটে, তাকে আরও বেঁটে দেখাচ্ছে একটি লম্বা শিখ যুবক পাশে থাকায়। শিখটি ওরই মধ্যে পাগ-টাগ বেঁধে একটু ভদ্রস্থ।

কাজল পাগড়ির রংটা দেখে বেশ পুলকিত হল। শকিং পিংক। পিওর সিল্কের ওপর যা খুলবে না! শিখ যুবকের পর একটু দূরে একটি মড মেয়ে হাঁটছিল। বয়-ছাঁট, যা কাজল দুচক্ষে দেখতে পারে না। তবে তা সত্ত্বেও মেয়েটা দেখতে বেশ। একটা বেশ ললিতে-কঠোরে ভাব আছে। ওমা সবগুলোই তাদের বাড়িতে ঢুকছে যে। কাজল ভেবেছিল শিখটা আর বয়-ছাঁট মেয়েটা রাস্তা পার হয়ে সার্কুলার রোডের দিকে চলে যাবে, গোয়াবাগান দিয়ে শর্টকাট নিচ্ছে।

নিচের দরজাটা এখন খোলাই থাকে। কে চোদ্দবার নিচে যাবে আর দরজা খুলবে বন্ধ করবে। ওপরে সিঁড়ির মুখে কোল্যাপসিব্‌ল গেট লাগানো। কাজল তালা খুলতে তাড়াতাড়ি এগিয়ে যায়। গঙ্গাপ্রসাদ বাড়ি আছেন। ক্যোল্যাপসিব্‌ল গেটের অদূরেই আছেন কিন্তু তিনি অভিধানে ধ্বস্ত। একটু আগে ধোপা এসেছিল। তার আগে একজন ছাত্র। দুবার তালা খুলতে হয়েছে অভিধান ছেড়ে। আবার উঠতে হলে গঙ্গাপ্রসাদ বোধ হয় গঙ্গাযাত্রাই করবেন। কথাটা কাজল মনে মনে ভাবে।

—মা, এই হল যশ। বিরাট ট্রেকার। এভারেস্টে গেল বলে।

অনীকের উৎসাহে জল ঢেলে দিয়ে কাজল বলল— এভারেস্টে তো এখন মেয়েরাও উঠে গেছে। তা তুই তো বলিসনি যশজিৎ শিখ।

সারা ভারতবর্ষ শিখে গেল কারো জাত-ধর্ম নিয়ে কথা বলতে হয় না। অনীকের মা শিখল না।

এই হল অনীকের মা। বন্ধুবান্ধবের সামনে প্রেস্টিজ পাংচার হয়ে যায়। অনীক যথাসাধ্য মেজাজ ঠাণ্ডা করে মুখে একটা দেঁতো হাসি টেনে এনে বলে— কেন? শিখ জানলে কি যেতে দিতে না?

কাজলরেখা গালে হাত দিয়ে বলে— ওমা! যেতে দেবো না কেন? কিন্তু জ্বলন্ত পাঞ্জাবের একজন নাগরিক, সবুজ পাঞ্জাবের একজন নাগরিক…

গোপাল বলল— ও জ্বলন্ত বা সবুজ পাঞ্জাবের নাগরিক নয় মাসিমা। নেহাতই নিরামিষ কলকাতার ভবানীপুরের তিন পুরুষের বাসিন্দা। রেস্তোঁরার ব্যবসা আছে।

—রেস্তোঁরা মানে তো ধাবা? তরকা-রুটি?

—না, আমাদের সব রকম হয় মাসিমা। মাংস, মাছ, পেঁয়াজের বড়া, চাইনিজ।

—ওমা! শিখ বাঙলা বলছো!

—বাঙালিই তো হয়েছি মাসিমা। আমার সঙ্গে এই গোপালের কোনও পার্থক্যই নেই।

—তা যদি বলো, গোপালের সঙ্গে তোমার অনেকই পার্থক্য।

গোপাল কাঁচুমাচু মুখ করে বলল— বুঝলি যশ, মাসিমা আমাকে একেবারে দেখতে পারেন না।

অনীক বলল— আর এ হচ্ছে মা, সেই বিখ্যাত রাংতা।

কাজল বলল— যশের গার্লফ্রেণ্ড?

যশ রাম বোকার মতো মুখ করে বলল— কী করে বুঝলেন?

—ও বোঝা যায় ঠিক— কাজল উড়িয়েই দিল প্রশ্নটাকে— বলল— বসো সবাই, যা চেহারা করে এসেছ! একটু চা খাবে তো?

—হয়ে যাক মাসিমা, গোপাল বলল।

কাজল তার দিকে আড়চোখে একবার তাকিয়ে ভেতরে চলে যাচ্ছিল, অনীক বলল— মা, বাবা কি কলেজে?

—না, ডিকশনারিতে।

—আর তীর্ণা?

—তীর্ণা? তীর্ণাকে এখানে কোথায় পাবে? সে তো তোমাদের সঙ্গেই ফিরবে?

মুহূর্তে সবার মুখ ছাইয়ের মতো হয়ে গেল।

—কেন ও কোথায়? ও নেই তোমাদের সঙ্গে? তাই আমি ভাবছি কী যেন নেই, কে যেন নেই!

—মা ঠাট্টা বন্ধ করো— অনীক গম্ভীর মুখে বলল— তীর্ণা বাড়ি যাচ্ছি বলে রাংতার সঙ্গে গুড বাই করে চলে এসেছে।

—একা রাংতার সঙ্গে কেন? তোমরা? তোমরা কোথায় ছিলে?

—আমরা একটু এদিক-ওদিক…

রাংতা হঠাৎ মুখ ঢেকে কেঁদে ফেলল।

কাজল রীতিমতো ভয় পেয়ে বলল, ও কি? রাংতা কাঁদছে কেন? ও কি তীর্ণার সঙ্গে ঝগড়া-টগড়া করেছে?

রাংতা ফোঁসফোঁস করতে করতে বলল— তেমন কিছু নয় মাসিমা। বিশ্বাস করুন। আমরা দুজনেই চলে আসব ঠিক করি, গোপালদের ব্যবহারে বিরক্ত হয়ে।

—গোপালের ব্যবহারে বিরক্ত হবারই কথা। কিন্তু আর দুজন কী করল?

—কিছুই করিনি মাসিমা।— যশ বলল— আমাদের আসলে কেঁদুলি যাবার একটা উদ্দেশ্য ছিল। আমরা একটি—

অনীক বলল— আমেরিকান মেয়েকে…

যশ বলল— খুঁজতে গিয়েছিলাম। মেয়েটি আমার কাকার। উনি অনেক দিন ধরে স্টেটসে সেটল্‌ড্‌। আমাকে ফোন করে ওকে এখানে সাহায্য করবার কথা উনিই বলেছিলেন। তিন বছর আগে। কিন্তু এখন মুশকিল হচ্ছে, ও আমাদের থেকেও পালিয়ে গেছে। ও বাউল নিয়ে কাজ করছিল, ভালো বাংলা শিখেছে… কেন যে.. পালিয়ে বেড়াচ্ছে…

এই সময়ে গঙ্গাপ্রসাদ একটা ঘরের মধ্যে থেকে মাথা নাড়তে নাড়তে বেরিয়ে এসে বললেন— আরও অ্যামেরিকান মেয়ে পড়াতে আমি পারবো না। একা, ফাদার জেনকিনসেই রক্ষা নেই… তারপর ছেলেকে দেখতে পেয়ে বললেন— ওঃ তুমি! চারদিকে তাকিয়ে বললেন— নো মোর স্টুডেন্টস্‌ প্লীজ।

কাজল বলল— তোমার মেয়ে হারিয়ে গেছে আর তুমি স্বার্থপরের মতো বকে যাচ্ছ! এরা তোমার কাছে পড়তে এসেছে, কে বলেছে?

—আমার মেয়ে হারিয়ে গেছে? মানে!

—আজ্ঞে হ্যাঁ। একজন মার্কিন মেয়েকে খুঁজতে গিয়ে এরা একজন বাঙালি মেয়েকে, নিজেদের ঘরের মেয়েকে, নিজেদের বোনটিকে হারিয়ে এসেছে—বলতে বলতে কাজল ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগল।

গোপাল আবেগের সঙ্গে বলল— মাসিমা, তীর্ণাকে আমরা খুঁজে বার করবই। আপনার কোনও ভাবনা নেই। মেসোমশাই, আপনি নিশ্চিন্তে অভিধান লিখুন, গোপাল হালদার থাকতে আপনাদের কোনও ভাবনা নেই।

কাজল ফোঁপাতে ফোঁপাতে বলল— গোপালের ভরসা তুমি করো না। ওর কথার সঙ্গে কাজের মিল পাবে না। দেখো ও-ই হয়ত ষড়যন্ত্র করে মেয়েটাকে সরিয়ে ফেলেছে!

গঙ্গাপ্রসাদ বললেন— থামো থামো। তোমরা কী বলছো বলো তো! আমার তো কিছুই বোধগম্য হচ্ছে না। তিনু কোথায়? এই ছেলেটি তাকে কোথায় সরিয়ে ফেলবে? কেনই বা?

কাজল বলল— কায়দাটা বুঝলে না? মেয়েটাকে সরিয়ে ফেলেছে। এখন বলছে, কোনও ভাবনা নেই, তাকে খুঁজে বার করবই। লুকোনো জায়গা থেকে তাকে বার করে এনে বলবে মেসোমশাই— এই নিন মেয়েকে কত কষ্ট করে উদ্ধার করে এনে দিলুম। এবার তার সঙ্গে আমার বিয়ে দিন।

গোপাল দারুণ রেগে উঠে দাঁড়িয়ে বলল— আই অবজেক্ট। আমার কোনও মোটিভ নেই। তীর্ণা পৃথিবীর শেষতম মেয়ে যাকে আমি বিয়ে করব, কেননা কাজলামাসির মতো শাশুড়ি পৃথিবীর শেষতম মহিলা যাঁকে আমি শাশুড়ি করব, কেননা আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি, তিনি একটি দুঃস্বপ্ন।

কাজল কান্না ভুলে বলে উঠল— তা তো বলবেই! সমস্ত চালাকি ধরে ফেলেছি কিনা!

গঙ্গাপ্রসাদ বললেন— কিন্তু এ সব কথা আমার মনঃপূত হচ্ছে না। তিনুকে সরিয়ে ফেলবে কী করে? তিনু কি একটা মালপত্র? তিনুকে সরাতে হলে তার নিজের মত থাকা চাই। এবং যদ্দুর জানি তিনুর মতামত খুব স্ট্রং।

—ধরো যদি দুজনে মিলেই এই প্লট বানিয়ে থাকে? কাজল কাঁদো কাঁদো মুখে বলল।

—কেন? বিয়ের জন্যে? ননসেন্স। তিনু একটা বোকা-হাবা নয়। সে আমার মেয়ে।

—তার মানে বলতে চাও— আমি বোকা-হাবা।

—কখন আমি তা বললুম! গঙ্গাপ্রসাদ ছেলেদের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন।

যশ এবং রাংতা ঘটনার গতি দেখে খুব ঘাবড়ে গেছিল। গঙ্গাপ্রসাদ রাংতার দিকে চেয়ে আবার জিজ্ঞেস করলেন— আমি কি একবারও বলেছি, তোমাদের কাজলামাসি বোকা-হাবা!

—না তা আপনি মোটেই বলেননি। অগত্যা রাংতা বলে, কিন্তু এবার তার ললিত কঠোর-এর কঠোর দিকটা চট করে প্রকাশ পায়— তা আপনি বলেননি, কিন্তু ওই যে বললেন, তিনু আমার মেয়ে-সে একটা বোকা-হাবা নয়— এতে করে একটা ইমপ্লিকেশন থেকেই যায় যে…

কাজল উৎসাহিত হয়ে চোখ মুছে বলে— বলো, বলো, বলেনি আমি একটা বোকা-হাবা! আমার জিন পেলে মেয়েটা বোকাই হতো!

—কিন্তু আপনার জিন তো ও ইন এনি কেস পেয়েইছে, মাসি।

এই সময়ে ফোনটা একবার বাজল। অনীক গিয়ে সেটা খপ করে ধরল— হাললো অনীক বলছি। ওপারের উত্তরটা শুনে সে বলল— বাবা তোমার ফোন।

—কে?

—বললেন ফাদার জেনকিন্‌স্‌।

—অ্যাাঁ? গঙ্গাপ্রসাদ প্রায় মূর্ছা যান আর কি!

—নমস্কার— অ্যাঁ— অ্যাঁ— অ্যাঁ

পরপর কতকগুলো জোরালো অ্যাঁ ছাড়া গঙ্গাপ্রসাদকে আর কিছুই বলতে শোনা গেল না।

অনীক বলল— আমি পুলিসে ডায়েরি করতে যাচ্ছি। যশ তোরা বাড়ি যা। গোপাল চ’।

রাংতা বলল— আমিও যাবো। আমার সাক্ষ্য পুলিসের কাজে লাগতে পারে।

—ঝামেলা বাড়াস না।

যশ বলল— থোড়ি বাড়ি যাবো। সেনসিব্‌ল্‌ কিছু বলল ইয়ার।

চারজনে বেরিয়ে গেল।

কাজল মন্তব্য করল— যার মেয়ে তার মনে নেই পাড়া-পড়শির ঘুম নেই। বাপ অভিধান লিখতে চলল। এদিকে মেয়ে ভাগলপুর।

গঙ্গাপ্রসাদ মুচকি হেসে বললেন— মেয়ে ভাগলপুর? অর্থাৎ গোপাল হালদারের ওপর থেকে অ্যালিগেশনটা তুমি তুলে নিলে? ভালো ভালো। তোমার মেয়েকে তুমিই বুঝবে ভালো।

—এর মানে? কখনও বলছো আমার মেয়ে, কখনও বলছো তোমার মেয়ে। তীর্ণা আমাদের দুজনেরই মেয়ে এতে যেন তোমার সমূহ সন্দেহ মনে হচ্ছে!

—জিন, জিন, কাজল জিন। একটু আগে জিনের কথা বলছিলে না? আমার জিনের ফলে মেয়ে বোকা হাবা নয় আর তোমার জিনের ফলে মেয়ে ভাগলপুর হয়। ভেগে যাবার এই প্রতিভাটি তিনু ওর মায়ের থেকেই পেয়েছে।

—আমি আবার ভাগলুম কবে? আই অবজেক্ট— কাজল ভীষণ উত্তেজিত।

—সুযোগ পাচ্ছো না, তাই ভাগছো না। এই যে কদিন রোজ আমার জন্যে বাসি বাসি ঝোল রেঁধে দিদিমাসির বাড়ি চলে যাচ্ছিলে, সেটা কি ভাগা নয়?

—বলে গঙ্গাপ্রসাদ বীরদর্পে চশমা হাতে নিয়ে অভিধানের ঘরের দিকে চলে গেলেন।

তাঁর পিঠের দিকে তাকিয়ে কাজল বলল— অদ্ভুত! মেয়ে হারিয়ে গেছে, এই পরিস্থিতিতে দাম্পত্যকলহ করছে। ঠিক দাদামেসোর মতো।

দাদামেসোর মত বললে কেন? —গঙ্গাপ্রসাদ ঝাঁ করে ফিরে দাঁড়ালেন— দাদামেসোকে তুমি দেখেছ?

—আজ্ঞে না, দাদামেসোকে দেখতে হলে আমাকে আমার জন্মের অনেক আগে জন্মাতে হত।

—তাহলে?

—না দেখলেও শুনেছি!

—আমি যদ্দূর জানি তিনি একজন পাগলাটে, বদরাগী, খামখেয়ালি লোক ছিলেন। আজকালকার দিনে হলে যাঁর সাইকিয়াট্রিক চিকিৎসা হত… আমি কোনখানটায় তাঁর মতো! শুনি!

—জানো, দিদিমেসোর ছেলেমেয়েরা যখন মারা যেত, দাদামেসো রেগে কাঁই হয়ে দিদিমাসিকে বকাবকি করতেন!

—কারণ!

—কারণ আবার কী? হয়ত তাঁর ধুতি কোঁচানো হয়নি, কি পাঞ্জাবি ঠিকমতো গিলে হয়নি, কি মিছরি শরবৎ দেওয়া হয়নি কি, আমলকী ভেজানো জল দেওয়া হয়নি…

—তুমি আমাকে দিনের পর দিন বাসি ঝোল খাইয়ে গেছো আমি কি তোমার ওপর চড়াও-টরাও হয়েছি যে তুমি…। দাদামেসোর সঙ্গে তুলনা গঙ্গাপ্রসাদের একেবারেই পছন্দ হচ্ছে না এটুকু বোঝা যায়। —যাই হোক, আমার ব্যাগটা গুছিয়ে দাও, আমি কাল সকালে শান্তিনিকেতন যাচ্ছি। ফাদার জেনকিন্‌স্‌ ডেকেছেন।

কাজল বিস্ময়ে প্রায় নির্বাক হয়ে যায়, তারপরে কোনক্রমে বলতে পারে—শান্তিনিকেতন যাবে? এ কথা তুমি বলতে পারলে? মেয়ে হারিয়ে গেছে আমাদের জীবন অশান্তিনিকেতন আর তুমি যাচ্ছো…

গঙ্গাপ্রসাদ বললেন— কেন তোমার তো সুবিধেই হবে? রোজ রোজ গোয়াবাগানে ভোজ খেতে যাবে! আর তিনু? ও ঠিক এসে পড়বে এখন। বলে গঙ্গাপ্রসাদ চলে যান।

Pages: 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Powered by WordPress