Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » দলের নাম ব্ল্যাক ড্রাগন || Muhammad Zafar » Page 10

দলের নাম ব্ল্যাক ড্রাগন || Muhammad Zafar

১০ সুড়ঙ্গের ভিতরের সেই ঘর থেকে মানিক আর তার ওস্তাদকে পুলিশ সেদিনই ধরে এনেছিল। দুজনেই না কী ঘাগু আসামি, দুজনের নামেই অনেক কেস। পুলিশ না কী অনেকদিন থেকে তাদের খুঁজছে।

সিন্দুকের উপর যে কঙ্কালটা ছিল সেটাকে সপ্তাহখানেক পরে কফিনে ভরে এনে জানাজা পড়িয়ে কবরস্থানে কবর দিয়েছে। পুরো খবরটা খবরের কাগজে ও টেলিভিশনে বের হয়েছিল তাই জানাজায় অনেক মানুষ হয়েছিল। কবরটা বাঁধিয়ে দেওয়া হয়েছে, মাথার কাছে লেখা আছে, “নাম পরিচয়হীন একটি দুঃখী বালিকা। মানুষের লোভ আর অবহেলায় শিকার। জন্ম-মৃত্যুর তারিখ অজানা।”

মিশকাত মঞ্জিল ভাঙা আপাতত বন্ধ আছে। মামলা করে যে জিতেছে সে না কী দোটানায় পড়ে গেছে। লোকজন তাকে বলছে মার্কেট করে সে যত টাকা আয় করবে তার থেকে বেশি আয় করবে পাবলিকদের সুড়ঙ্গ দেখিয়ে। সেখানে সুড়ঙ্গের ভিতর সিন্দুকটা আছে। ভেতরের সোনাদানা পুলিশের কাছে, সোনার অলংকারের মাঝে না কী রক্তের শুকনো দাগ। সোনাদানা কে পাবে সেটা এখনো পরিষ্কার হয়নি, শোনা যাচ্ছে জাদুঘরে দিয়ে দেওয়া হবে।

সেদিন মিশকাত মঞ্জিলের নিচে কী হয়েছিল সেটা জানার পর আমাদের আব্বু-আম্মুরা প্রথমে আমাদের উপর খুব রাগ করেছিল। প্রথম প্রথম হম্বিতম্বি করে বলেছে আমাদেরকে আর কখনো ঘর থেকেই বের হতে দেবে না। কিন্তু এরকম অসাধারণ একটা সুড়ঙ্গের নেটওয়ার্ক বের করেছি, যক্ষ বের করেছি, যক্ষের ধন বের করেছি, শুটকা মানিক আর তার ভোটকা ওস্তাদকে আটক করেছি কাজেই তারা খুব বেশি দিন রাগ ধরে রাখতে পারেনি।

তবে আমাদের নিজেদের ভিতরে অনেক রাগারাগি হচ্ছে। টিটন রেগেছে চঞ্চলের ওপরে তার তাবিজের ভেতর ই ইকুয়েন্স টু এম সি স্কয়ার লিখে ঢুকিয়ে দেওয়ার জন্যে। অন্যেরা রেগেছে আমার উপর, আমি চোট্টামি করে লটারিতে সবাইকে ঠকিয়ে ব্ল্যাক ড্রাগন নামটা করে দিয়েছি সেই জন্যে। ভুলটা আমারই, গল্পের ফাঁকে একদিন নিজেই বলে দিয়েছিলাম-না বললেই হত। সবাই রেগে মেগে বলছে আবার নতুন করে ক্লাবের নাম দেওয়া হবে।

কিন্তু নতুন করে নাম দেওয়া মনে হয় সহজ হবে না। রেডিও-টেলিভিশনেও এই নামটার কথা বলা হয়ে গেছে! সবাই এখন এই নামটার কথা জানে! সবাই এখন এর মেম্বার হতে চায়–বিশেষ করে ছোট বাচ্চারা। তারা পুরো ঘটনাটা শুনে মহা উত্তেজিত। দিনরাত আমাদের পিছনে পিছনে ঘোরে পরের অ্যাডভেঞ্চারে তাদের নেওয়ার জন্যে।

টুনি বাধ্য হয়ে এখন তাদেরকে বিকেলবেলা কারাটে শেখায়। দেখতে দেখতে আমাদের ব্ল্যাক ড্রাগনের বিশাল একটা দল হয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে!

কিছু একটা হলে মিথিলা এখনো নাকি সুরে আম্মুকে নালিশ করে। তার নালিশ শুনে এখন আমি আর রেগে উঠি না। নালিশটা শুনতে ভালোই লাগে–কারণটা কী কে জানে!

Pages: 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10
Pages ( 10 of 10 ): « পূর্ববর্তী1 ... 89 10

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *