কৃষ্ণচূড়ার আগুন রঙ ছুঁয়ে দেখতে চেয়েছিলে না একদিন!
গায়ে মেখে নিতে ভালোবাসার গন্ধ কখন যে
পা ফেলেছ চোরাবালিতে নিজের অজান্তে !
তারপর …..
এক পা দুই পা করে এগিয়ে চলেছিলে
বেলাশেষের নৈঃশব্দ্যময় দিগন্তরেখা দিকে।
শিরায় শিরায় লেগেছিল ঘূর্ণিঝড়ের মাতন।
ঘোলা জলের বিষাক্ত নদীতে ডুবে সংক্রমিত
হয়েছিলে পূর্ণ অবয়বে।
প্রতিটা রক্তবিন্দু আজ খুঁজে ফেরে শব্দের
প্রসবকালীন বিলম্বের কারণ:
চারিপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে যত্ন করে রাখা আশা-আকাঙ্ক্ষা-স্বপ্নের ছিন্নভিন্ন গলিত শবদেহ।
বাসি অগরুর কটু গন্ধ চাপা পড়ে যায়,
তীব্র স্বার্থপরতার যানজটে।
বারবার আত্মহত্যা করতে চাওয়া জীবন
দুলতে থাকে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে।
তরল মোমের হলুদ আলোয় চেতনারা কালঘুমের দেশে রওনা দিয়েছে বহুকাল যাবত,
থমথমে নিস্তব্ধতার অন্ধকার থেকে ক্লান্ত সময়
হাতড়ে হাতড়ে মরে আলোকিত পথের দিশা।
সবটুকু হারিয়ে ও মনে পোষে ফিরে পাওয়ার আশা।
শেষ বিকেলের অস্তরাগে লেখা হয় অমর কাহিনী ;
শরীর শেষ ঘুমের বিষন্নতার আলতো ছোঁয়া পেয়ে
হয় পলকহীন।
পিছুটান হীন জীবন নৌকা ভেসে যায়,
ঝাপসা হয়ে আসা নিভন্ত দুই চোখে তখনও হাসি লেগে থাকে বিরামহীন।