Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।

ত্রিধারা -8

ছেলের তখন বারো বছর বয়স।হঠাৎই ম্যাট্রিমনিতে উপমার সঙ্গে আলাপ।তারপর
সরাসরি দেখা।
তুমি ম্যাট্রিমনিতে কি জন্য?
দেখছিলাম আজকের দিনে কত সুন্দরী মেয়েরা ডিভোর্সী। তারা অনেকেই আবার ভালো চাকরি করে।আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যের অভাব নেই।
তাদের সঙ্গে আলাপ করে খোলামেলা গল্প করতাম।
বাবা এভাবে গল্প করা যায়?
হ্যাঁ যায় তো।শোন না বৌদি এভাবে গল্প করতে
করতে একদিন উপমা দেখা করতে চাইল।
তাই নাকি? কোথায়?
হ্যাঁ। দেখা হল দুজনের মানিস্কোয়ারে।সেখানে জমিয়ে আড্ডা দিয়ে গেলাম রেস্টুরেন্টে। খেয়ে টুকটাক কিছু কিনে ঘুরে ঘুরে ফেরা।খুব ভালো লেগেছিল মুহূর্তটা।
মেয়েটিকে ভালো লেগে গেল।
ও মানে নতুন করে প্রেমের বীজ রোপণ করে ফেললে?
হ্যাঁ মেয়েটির প্রতি আকর্ষণ বেড়ে গেল।দুজনেই
দুজনের প্রতি আকৃষ্ট হলাম।মেয়েটিকে ভালোবেসে ফেললাম।
বাঃ সুন্দর। আবার নতুন স্বপ্ন দেখা শুরু করে দিলে।
হ্যাঁ মন চাইল তাই দেখলাম।
স্বপ্নে ভেসে গেলাম।
একদিন দুজনেই দুজনের সারপ্রাইজে হতবাক হই।
কি সেই সারপ্রাইজ?
কি অদ্ভুত ব্যাপার জানো বৌদি। আমার ছেলে নীলু আর ওর মেয়ে অম্বার জন্মদিনের তারিখ এক। দুজনেই দুজনকে বলি ২৬ শে জানুয়ারী
সারপ্রাইজ দেব।আর দুজনেই ওই দিন সন্তানদের
নিয়ে দেখা করি।গঙ্গাবক্ষে দুজনের একসাথে
বার্থডে সেলিব্রেশন করেছিলাম।
বাঃ বেশ সুন্দর তো।দারুণ মজায় কাটালে সেদিন।
হ্যাঁ খুব মজা করেছিলাম চারজনে।
আমার প্রিন্সের পাঁচ বছরের জন্মদিনেও তোমাদের বাড়িতে খুব মজা হয়েছিল।গঙ্গাবক্ষে না হলেও সারাদিন বাড়িতে হৈচৈ।৫০ জন লোকের
আয়োজন। বাড়ির প্রত্যেক ঘর বেলুন দিয়ে সাজানো।তোমাদের উপরের বারান্দায় বক্স
বাজানো।তোমাদের উপরের দুই ঘরে মেঝেতে
আসন পেতে বসিয়ে খাওয়ানো হয়েছিল।কেউ
বুঝতেই পারেনি যে আমি তোমাদের বাড়িতে
ভাড়া থাকি।আমার আত্মীয়রা অবাক হয়ে
গিয়েছিল তোমারদের সঙ্গে এই গভীর সম্পর্ক
দেখে।অনেকেই গুণগুণ করে বলছিল ভাড়াটে
আর বাড়িওয়ালার এমন সম্পর্ক।অনেকেই তোমাকে আমার নিজের দেওর ভাবছিল।
তোমার মনে আছে,তারপর ইলিশ মাছের ডিম রাধুনিরা যেভাবে ক্যানে সরিয়ে রেখেছিল। আর এদিকে আমার বিছানায় কেমন আয়েস করে বসে বিড়ালে ইলিশের মাথা খাচ্ছিল।
বেশ মনে আছে
সবাই তো হাসি ঠাট্টা মজায় ব্যস্ত কে আর এদিকে
নজর রেখেছি বলো।সে তো তোমার বাবার নজরে পড়েছিল তাই ডিমগুলো ওরা নিয়ে যেতে
পারে নি।

Pages: 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18 19

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *