ত্রিধারা -10
ডিভোর্সি বা বিধবা মেয়েকে বিয়ে করা কোন পাপ নয় আমার কাছে।
এমন কাউকে বিয়ে করতে পেরে নিজেকে অনেক ভগ্যবান মন করছি।
এভাবে ভাব তুমি নিজেকে?
এদের কেউ ভালোবসতে বা বিয়ে করতে চায় না কেন জান? কেননা “ডিভোর্স ” হওয়া মেয়েদেরকে আমরা এবং আমাদের সমাজে সবাই “এক দৃষ্টি-ভঙ্গীতে দেখি। আর বলি যে সে কুলটা।কিন্তু তাকে কি আর বিয়ে করা যাবেনা?সে কি সংসার জীবনটা বুঝবে না?
তার ছেলে বা মেয়ে আছে বলে তাকে বিয়ে করা যাবে না? আরে সন্তান অন্য কারো উপায়ে হয়েছে তাই বলে কি সে কারোকে বাবা অথবা মা বলে ডাকতে পারবে না? মেয়েটিকে আর কোন পুরুষ স্বামীর ভালোবাসা দিতে পারবে না?
আমিও তাই ভাবি।
তোমরা সবাই তো সেই একটাই কথা বলতে পার
“মেয়েটা যে কুমারী নয়” সে অন্য কারো এঁটো।
হ্যাঁ কারো কথায় সায় দিই
আজব মানসিকতা তোমাদের। কুমারী হওয়াটা খুব প্রয়োজন?
ডিভোর্সি অথবা বিধবা,সে কি নিজেকে অন্য মেয়ের মত সুখে রাখতে পারবে না? তারা খুব কষ্ট পায় মনে হয় তাদের সুখে রাখতে কেউ চায় না। তাদেরও ভালোবাসা পাওয়ার ইচ্ছে হয়।
কোনটা আমাদের প্রয়োজন কুমারীত্ব? না ভালোবাসা?নিজের সন্তান না হোক অন্য কারো সন্তানের মুখে মা, বাবা ডাক শোনা খারাপ কিছু না।
এর মত ভাগ্য সবার হয় না।
তাই তুমি পরে ডিভোর্স মেয়েদের সুখে রাখতেই
আবার বিয়ে করলে? নাকি নিজের স্বার্থে?
বেশির ভাগ মেয়ের ডিভোর্স ‘ হয় কেন জান?
বিয়ে হওয়ার পর বিভিন্ন কারণে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা মেয়েটিকে পছন্দ করে না,প্রথম ছেলে
সন্তানের জন্য চাপ দেয়, বাপেরবাড়ী থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দেয়।
নানা রকম কথায় “মেয়েটাকে বিশ্লেষণ” করা হয় প্রতিনিয়িত!
আর মেয়েটা ছেলেটার কাছে সত্যি খারাপ হয়ে যায়।
পরিবারের চাপে “ডিভোর্স ” দিয়ে ছেলেটা আবার বিয়ে করে। আর মেয়েটা হয়ে যায় খারাপ।কেননা সবাই বলত মেয়েটা ভালো না তাই ছেলেটা বিয়ে করছে।কিন্তু কেউ এটা জানার চেষ্টা করে না যে পরিবারের ইচ্ছাগুলো মানতে গিয়ে মেয়েটাকে এই অপবাদ পেতে হল।
তবে কি তুমি এবার বিধবা মেয়ে বিয়ে করবে?
সেই রকম বিধবা মেয়ে যদি আসত,ভেবে দেখতাম।
সদ্য বিয়ের পরেই মেয়েটার স্বামী মারা” গেছে, আর “মেয়েটা হয়ে গেলো অপয়া”!! সমাজের কাছে মেয়েটা হয অলক্ষী, তাই স্বামী মারা গেছে।কিন্তু আমরা এটা বুঝি না যে বাচা মরা সব ঈশ্বরের হাতে। এতে কারো হাত নেই। তাহলে সে অলক্ষী হয় কেমনে??
কে আর তোমার মতো ভাবছে।
সমাজে শুধু মেয়েদের বদনাম হয়,
ছেলেদের বদনাম হয় না সমাজে। পুরুষ যে সোনার আংটি।