তুমি দ্বার খুলে দিয়েছো তাই দুর্ভেদ্য নিকুম্ভিলা
যজ্ঞাগারে মেঘনাদ হত !
তোমার মন্ত্রণায় বৃহন্নলা পান্ডবের অজ্ঞাতবাস ।
তোমার প্রেরিত প্রেমের ফল্গুধারায় অবগাহন করেই ,
হেলেন কিছুতেই যুবরাজ প্যারিসকে ভুলতে পারেন না ।
যেমন চিরবিরহিনী পাঞ্চালী অর্জুনের প্রতি
অভিমান নিয়েই হেঁটে চলেন মহাপ্রস্থানের পথে ।
তোমারই নির্মিত সূচ্যগ্র ছিদ্র দীর্ঘ হতে হতে
গাঁঙুর ডিঙিয়ে পৌঁছে যায় ইন্দ্রের সভায় ।
ছদ্মবেশী তুমিই অহল্যাকে পাথর- জন্ম দিয়েছো।
তুমি বিচারক , রাজধর্ম লোকধর্ম পালনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়তোবা।
তাই সীতা রাণী নন , রাজমাতা নন ।
বিনোদিনী প্রেমিকা নন , এয়োতি নন ।
তোমারই দোদুল্যমান ইচ্ছার নিষ্পত্তি হয়
মাতা ধরিত্রীর কোলে , দশাশ্বমেধ ঘাটে !