রাত অধিক হলে তোমাকেই মন পড়ে।
মনে পড়ে অন্ধকারের আলো সেজে তুমি আমার অপেক্ষায় থাকতে।
সেই আলোয় আমি হতাম আলোকিত।
আমাদের সেই আলাপচারিতা, হাসি গল্প আড্ডায় হারিয়ে গিয়ে সৃষ্টি হতো নিত্য নতুন কাব্য।
রাতের আঁধারে গাছেদের সবুজ উজ্জ্বল পত্র লেখায় তোমায় স্পর্শ পেতাম।
বুকের ধুকপুকে তোমার অনুরাগে
অনুরণন হতো শুধু।
এখন ভিখারিণীর মতো হাহাকার তুলে ডাকি কই তুমি!
একটি বার তো সাড়া দাও!
গভীর রাতে আশেপাশের বাড়িতে আলো জ্বলে ওঠে।
রাতের আকাশে আমার চিৎকার ধ্বনি থেকে প্রতিধ্বনি তোলে।
তোমার আকাশে জ্বলে স্থীর সবুজ আলো।
আমার জানালায় বাতিস্তম্ভের নিয়ন আলো ছুঁয়ে গেলে মনে হয় তুমি এলে, স্বান্তনা দেবার মতো কিছু কথা যেন বলে গেলে।
আমার ডালে ডালে তখন অভিমানের নোনতা বাস্প জমছে।
অনুরাগের বাস্প মাখা মেঘ আকাশ ছুঁয়ে ঝরছে শ্রাবণ ধারায়,
তোমার চিলেকোঠার বারান্দায়।
একদিন এক সমুদ্র অভিমান নিয়ে
প্রবল জলোচ্ছ্বাসে হারিয়ে যাবো।
প্রেমহীন শূন্য দেবালয় অনুরণিত হবে বিরহের বাঁশির সুরের মুর্চ্ছনায়….
রেখে যাবো সুগন্ধি আতর মাখা আরতির রুমাল আর হিজিবিজি কবিতার খাতা।