” জীবন-পোড়ানো এ হোম-অনল
সেদিন কি হবে সহসা সফল ?
সেই শিখা হতে রুপনির্মল
বাহিরি আসিবে বুঝি !
সব জটিলতা হইবে সরল
তোমারে পাইবো খুঁজি ।”
তোমাকে খুঁজে পাই
ক্রন্দনরত হত-বিহবল হৃদয়ে,
ভোরের আধোঘুমে ভেসে আসা
এক চেনা বাঁশির সুরের মত—
চেনা-জানা শব্দমালা দিয়ে গড়া
কখনও কবিতায় অথবা গানে,
দুপুরের অবোধ্য রবির কিরণে।
খুঁজে পাই তোমাকে
ফেলে আসা স্মৃতির কম্পনে,
কখনও বা জীবন নদীর বন্ধনে,
হঠাৎ বেদনায় ঝরে পড়া বৃষ্টির ফোঁটায় ফোঁটায় ,
বুকের মাঝে জমাটবাঁধা অভিমানের মেঘে
কিম্বা গহীন অরণ্যে বলাকার ডানার ঝাপটায়,
হৃদয় জুড়ে বেজে ওঠে তোমার গানের সুর,
কখনও গুলঞ্চের গোলাপি রক্তক্ষরণে,
কখনও শান্তির খোঁজে স্নিগ্ধ শান্তিনিকেতনের
সেই সতেজতায়, কোমলতায় খুঁজি তোমাকে,
লাগামহীন বিষাদের পাহাড় ডিঙিয়ে
তোমাকে খুঁজি বারে বারে,
রক্তাক্ত কাঁটার আঘাতে ঝরা বনফুল তলে
কিম্বা রামধনুর রঙে, তুলির টানে,
কখনও বা তোমাকে খুঁজে পাই
সঞ্চয়িতার গানে গানে।