ভুঁতনী- যেঁ দিকে তাঁকাই, চারিদিকে আঁলোয় আঁলোকিঁত, যেন শহর জুড়ে আঁলোর বন্যা নেমেছেঁ। কিন্তু আঁজ তো ভূতঁচতুর্দশী। আঁমাদের দিন। দু এক জায়গা ছাড়া,কোঁথাও তো মোমবাতি জ্বলছে না!
ভুঁত – ও মা তুঁই জানিস না। এখন আর কেঁউ মোমবাতি জ্বালায় না।
মাঁনুষের এখন সময়ের বঁড়োই অঁভাব। ওরাঁ বৈদ্যুতিক আঁলোয় ঘর সাঁজায়।
ভুঁতনী- সে কি রেঁ! তবে আঁমরা এলামই কিঁ কঁরতে। এই মঁনুষ্য জগতে! ওরা কেঁউ তো আর আঁমাদের মনেই রাঁখে না! মরেঁছে লেটা চুকেঁছে!চৌদ্দ রকঁম শাঁক তো কেঁউ ভাঁজে না!
ভুঁত- হিঁ হিঁ হিঁ তুঁই আঁর হাঁসাস না।
আঁমরা এসেছি ওদের রকঁম সকঁম দেখতে। ওরা টুনি লাইট দিয়ে ঘর সাঁজায়। ঘরের ভিতঁরে ঘর, ঢুকে দেঁখ, ঘুঁটঘুঁটে অঁন্ধকাঁর। ওরাঁ অন্তরের আঁলোর প্রদীপ জ্বালায় না।
ভুঁতনী- তবে কিঁ জানিস আঁমার আবার মাঁনুষ হতে সাধ জাগে। সাধ জাগে তোঁর সাথে নতুন কঁরে সংসার পাততে! স্বপ্ন দেঁখতে!
ভুঁত- আঁমরা এই বেঁশ ভালো আঁছি রেঁ। মাঁনুষদের থেকেঁ আঁমার বড্ড ভয়! আঁমারা আঁর যাই হোই, ওদেঁর মতো রঙ মেখে মুঁখোশ পরে অভিনয় কঁরঁতে পাঁরি না।
ভুঁতনী- আঁমি তোঁকে ছেড়ে কোঁথাও যাবো না। ওরাঁ ঈশ্বরের সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি, আঁবার ওরাঁই সবচেয়ে নিকৃষ্ট! কাঁরণে অকাঁরণে একে অপরেঁরঁ দোষ ধঁরে। ভেঁতর বাঁইরে পঁড়তে পাঁরে না।
আঁমরা ভুঁতেরা সব পাঁরি। কাঁউকে ছোট বড় ভাবি না।
ভুঁত- মাঁনুষই মাঁনুষ কেঁ ছোট কঁরে। অঁবজ্ঞা, অঁবহেলা কঁরে। মাঁনুষ অঁকৃতজ্ঞ, ভালোবাসতে জানে না।
একঁদিন এমন একঁটা সময় আঁসবে, মাঁনুষ হাঁসতে ভুলে যাবে। গানের সুঁর আর আঁসবে না।
ভুঁতনী- চল আমারা যাঁই এখান থেকেঁ, ওদের সাথে মিশলে, আঁমরাঁও ওদেঁর মতো হয়ে যাবো। সহজিঁয়া সুঁরে তোঁকে ভালোবাসি আর বলাই হবে না!
ভুঁত- ভুঁতনী তোঁর আমার সব কঁথোপকঁথন গুলো ভাঁলোতে থাক। ভাঁলো থাক আমাদের ভাঁলো বাঁসার ঘর। মঁনুষ্য জগত আঁমাদের জন্য নয়, এখানে আঁর কঁখনো আঁসবো নাঁ।।