তুমি ভয় পেয়ো না পিঙ্কি
আজ ওরা আমাকে না মানতে পারলেও একদিন মানবে ঠিকই
তুমি ভয় পেয়ো না পিঙ্কি
প্রতিবাদের কারণে ওরা আমার গলার নলি কাটতে চেয়েছিল
প্রতিবাদের কারণে ওরা আমাকে ওদের ক্লাব থেকে তাড়িয়ে দিল
আমার ন্যায় নীতি ;সততার কারণে আমাকে এই পাড়ার লোকেরাই সকলে মিলে পিটিয়েছিল
তবুও তো বেঁচে আছি দেখো, আজও
তুমি ভয় পেয়ো না পিঙ্কি
একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে ঠিকই,
সম্মান অপমান;পুরস্কার তিরস্কার;গালিগালাজ উপহাস;এগুলো নিয়েই তো জীবনের ওঠা নামা
ধীরে ধীরে আমি সামলে নেব সবই
তুমি ভয় পেয়ো না পিঙ্কি;
কলম যখন ধরেছিই আমি
আমি তোমাকে একটা শান্তিপূর্ণ সমাজ এনে দেবো
আওয়াজ যখন তুলেছিই আমি
আমি তোমার হাতে আমাদের শিশুর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তুলে দেবো
কবিতায় বিদ্রোহই যখন করব–
তখন অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম ধরবোই ধরবো,
তুমি ভয় পেয়ো না পিঙ্কি।
দূরে তাকিয়ে দেখো ;এখনো আকাশে সূর্য ওঠে
সারাদিন সূর্যালোকের শেষে সূর্যাস্ত হয়ে আসে সন্ধ্যে
আবার চাঁদের আলোয় ঝলমলিয়ে ওঠে পৃথিবী
আমিও এভাবেই সামলে নেব সব ঠিকই
তুমি ভয় পেয়ো না পিঙ্কি
হয়তো একদিন তোমাকে আমাকে নিয়ে আলোচনা হবে এই পাড়ায়
হয়তো একদিন আমাদের এই গ্রাম, এখানের মাটি ; আকাশ ;বাতাস ;গাছ ;দুলবে কবির হাওয়ায়
তুমি ভয় পেয়ো না পিঙ্কি;
একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে ঠিকই
তুমি ভয় পেয়ো না পিঙ্কি।