চন্দনে চর্চিত হয়ে বেনারসি মুড়ে লাজুক নয়নে তুমি এসেছিলে
ঠিক সেইভাবে চন্দনে চর্চিত হয়ে চর্তুদোলায় চেপে চলে গেলে
তখন নদীটা ছিল বাড়ীর কিনারে
আজ নদী তিন মাইল দৃরে
তখন পাশের বাগানে রোজ ফুটত দুই ব্যাগ ফুল
মালি এনে দিত একঝুড়ি প্রজাপতি
আজ সেখানে অনেক নিঃশ্বাস জড়ানো ফ্ল্যাট বাড়ী
তুমি বলেছিলে , ভুল হলে আঘাত কোরো অপমান কোরো না
বলেছিলে দুঃখ দিতে পারো ছেড়ে যেও না
তবে তুমি কেন ছেড়ে চলে গেলে চর্তুদোলায় চেপে
তুমি যে সুখের ফুলদানি রেখেছিলে
যেখানে রোজ সুখের ফুল রাখতে
কে সেখানে ফুল রাখবে নরম মিষ্টি হাতে
রোজ তোমার শরীরে মৃগয়াতে যেত
কোন ঝর্নার জলে সে হবে এখন নৃত্য রত।
কেন চলে গেলে চর্তুদোলাতে এখন ফাগুন মাস
কিছু ই তো হয়নি পুরন মেটেনি কোন ই আশ
চলে গিয়ে খুব মজা পেলে
কোথায় পালাবে
কাল সকালে কে দেবে মুন্নিকে ব্রাশে পেষ্ট লাগিয়ে
তুমি তো বন্দী তোমার নিজের তৈরী পিঞ্জরে ।