ডরোথী -14
ছন থেকে মেয়ের গলা শুনলেন , – মম্ । ফিরে তাকালেন পামেলা । ফ্রেশ হয়ে একেবারে চেঞ্জ করে এসেছে ডরোথী । মনে ভাবলেন , এটা কি রেভ্ চলে যাবার পরে করা যেত না ?
বললেন অন্য কথা । – বসো তোমার সাথে কথা আছে । কি কথা তা ডরোথীর বুঝতে বাকি নেই । কিন্তু সে কথার উত্তর ডরোথীর জানা ও নেই । যতক্ষণ না জানতে পারছে “হু ইজ হি” ততক্ষণ শান্তি নেই । ততক্ষণ উত্তর ও নেই । তবু ও মায়ের পাশে বসলো । পামেলা বলেন- অনেক দিন পর রেভ্ এলো কিন্তু তার সঙ্গে তোমার ব্যবহারটা ভালো লাগেনি আমার । আগে তো ওর সঙ্গে এমন করোনি কখনো ? কি এমন হলো যে ওকে এড়িয়ে গেলে ? তুমি কি ওকে বিয়ে করতে চাও না ? – ‘ব্যবহার টা খারাপ মনে হলো ? আমি কি ওকে অসম্মান করেছি ? – এটা এক রকমের অপমানই বলে । ওকে বসিয়ে রেখে ভেতরে ঢুকে গেলে । আগে তো কখনো এমন করোনি ? – আগে ভেবেছিলাম ওকে আমি বিয়ে করব । এখন মত পাল্টে গেছে । আমি ওকে বিয়ে করছিনা । – তোমার মাথাটা এক্কেবারে খারাপ হয়ে গেছে । নইলে অমন ছেলে কেউ হাত ছাড়া করতে পারে ! কি করবে এরপর ? – টি এস্টেট এ কাজ করবো । । আর সোসাল ওয়ার্ক করবো । – তার মানে রেভ্ কে বিয়ে না করলে আর কাউকে বিয়ে করবে না ।
মেয়ের কথায় থৈ পান না পামেলা । রাগ করেই তিনি উঠে চলে গেলেন ঘরে । এতো বছর ধরে যে আশা পোষণ করে এসেছেন তা তিনি ভেঙ্গে যেতে দিতে পারেন না । তাই সব কথা ডেভিডকে বললেন । ডেভিড বললেন- দেখো এ ব্যাপারে তুমি আমি হরিসাধন কেউ কিছু করতে পারবোনা । একমাত্র রেভারেন্ডই করতে পারে ।
ওদিকে রেভ্ বাড়ি ফিরে ডরোথীর কথা ভেবেছে । সে রাতে রেভ্ এর উপস্থিতি ডরোথী কি টের পায়নি ? এখন মনে হচ্ছে ডরোথী হয়তো জ্বরের ঘোরেই আমাকে চেয়েছিলো । ভুল যদি কারো হয়ে থাকে সেটা আমারই হয়েছিল । জ্বরের ঘোরে ওকে গ্রহণ করা ঠিক হয়নি । কিন্তু ও আমাকে চেয়েছিল । এবার আমার কর্তব্য আমাকে করতে হবে । বাবার সাথে কথা বলতে হবে । খাবার আগেই মিটমাট করতে হবে তাই বাবার ঘরে ঢুকে গেল রেভ্ ।
ছেলেকে দেখে হরিসাধন ব্যানার্জি বলেন- কি খবর কিছু বলবে ? ডরোথী দের বাড়ি গিয়েছিলে ? – হ্যাঁ । একটু অন্য রকম দেখলাম ওকে । – সেটা তো আমিও ভাবছি , কেন এমন বদলে গেল । গৌহাটী যাওয়ার দিন অবধি হাসি খুশি ছিল । হঠাৎ কি এমন হলো যে মুখে হাসি নেই । আমারই দোষ হয়েছে । ওকে এখানে রাখা ঠিক হয়নি । হয়তো ভয় টয় পেয়েছে ।
রেভ্ বলে- বাবা , দোষ টা আমার । সেই রাতেই আমি এসেছি । ডরোথী যে অসুস্থ ছিল তা আমি বুঝতে পারিনি । এক্চুয়্যালি সী ওয়াজ ইনভাইটিং মি অন হার বেড । সী ওয়াজ ইনসিস্টিং মি । আমার ভুল হয়ে গেছে ।
আর কি বললে বাবা সত্য টা বুঝতে পারবে ! রেভ্ এখন ছোট ছেলে নয় এখন সে একজন নামি দামি ডক্টর , তবু ও বাবা কে বলতে হচ্ছে কেন ?
হরিসাধন যা বোঝার বুঝে নিয়েছেন । বললেন- – সেই দিন খুব বৃষ্টি হচ্ছিল জল জমে গিয়েছিল । তাই ডরোথীকে বাড়ি যেতে মানা করেছিলাম । তুমি আসবে তা তো জানতাম না । ওকে সব খুলে বলো । সব বুঝতে পারবে ডরোথী । তবে দেরি করো না ।
ঠিকই বলেছেন বাবা , রেভ্ ভাবলো । ডরোথী হয়তো বুঝতেই পারেনি যে কে সেই মানুষটা । ডরোথী না হয় অসুস্থ ছিল কিন্তু রেভ্ এর তো বোঝা উচিত ছিল । বিশেষ করে বিইং এ ডক্টর ? ডরোথী কে সব খুলে বলবে । ক্ষমা চেয়ে নেবে ডরোথীর কাছে । ডরোথী এখন ও মুখ ফিরিয়ে নেয়নি রেভ্ এর কাছ থেকে । কারণ ডরোথীর শরীরই বলে দিয়েছে সে রেভ্কে কতো টা ভালোবাসে ।
কিছুক্ষণ পরেই পামেলার ফোন এসেছে । । রেভ্কে ডরোথীর বলা সব কথা বলেছে । চিরকাল অবিবাহিত থাকবে সে কথা ও বলেছে ।
পরদিন সকালে রেভ্ ডরোথীদের বাড়ি না গিয়ে সোজা বাগেশ্বরী পাহাড়ে উঠেছে ডরোথীর আশায় । দূর থেকে দেখা গেল তাঁকে , যার আশায় এখানে এসেছে রেভ্ । কথা দিয়ে মন গলানোর চেষ্টা করেছে । – কি হলো আজ যে বড় দেরীতে এসেছো ? – দেরি হলো । কিন্তু তোমাকে কি কোনও অসুবিধায় ফেললাম ? – ‘না তা কেন হবে ? অন্য দিন তো আরো আগে আসো । – ‘ তোমার মতো তো আগে আসার জন্য সকাল হবার অপেক্ষায় জেগে বসে থাকিনি ? হঠাৎ রাগে চোয়াল শক্ত হয়ে ওঠে রেভ্ এর । হিস হিস করে বলে , “ইউ লায়ার তুমি ভালোবাসো না আমায় ? বাট ইয়র আইজ টেলিং মি ডিফারেন্ট থিংস । ও কে আই লাইক টু নো দা আন্সার । “বলে ই ডরোথী কে দু বাহু দিয়ে টেনে নিলো । ডরোথী বলে- ” প্লিজ রেভ্ লেট মি গো । ” ডরোথীর গলায় আঁকুলতা ।
হিসিং সাউন্ড , “আই উইল লেট্ ইউ গো আফটার গেটিং দা আনসার ” ডরোথী ঠেলে সরাতে চায় রেভ্ কে । রেভ্ আরও রাগে হিস হিসিয়ে বলে- ইউ অবস্টিনেট গার্ল , আই উইল টিচ্ ইউ আ লেসন টু ডে ।
হার হয় ডরোথীর । সব ভুলে যায়শুধু তরঙ্গের অনুভূতি , পরম নির্ভরতম আশ্রয় । ভালোবাসায় ভরা ঐ বুকে ডরোথীর পরম নির্ভর তম আশ্রয় । ভালোবাসা ভরা ঐ বুকে ডরোথীর মাথা রাখা । চোখ খোলে ডরোথী । দেখে ঠিক আঙ্কেলের মতো দুটি ভালোবাসা ভরা চোখ । কিন্তু অন্য কিছু মেশানো ঐ চোখে । চোখের জ্যোতি ঠিকরে পড়ছে ডরোথীর ভরন্ত যৌবনে । তিরতির করে কাঁপন লাগে মনে । মন থেকে ছড়িয়ে পড়ে প্রতি অঙ্গের অনুতে । গালের লালিমা ছড়িয়ে পড়তেই নজর পড়েছে রেভ্ এর চোখে । তার আগেই ডরোথীর প্রেমের মানুষ দু’ হাতে ডরোথীর মুখ খানা তুলে ধরেছে । ডরোথীর গালের লালিমা ছড়িয়েছে মুখে । তখনই ডরোথীর মনে পড়েছে সেই কথা । “ইয়েস হি ইজ ফিট ফর দা প্রেজেন্টেশন অব হার বিউটিফুল ব্লাশিং ” । রেভ্ এর কথাটা আবার মনে হয় ” , এ ডে উইল কাম হোয়েন উই উইল এনজয় দিস থিংস ” । কথাটা মনে হতে হাত ছাড়িয়ে নেয় ডরোথী । রেভ্ বললো- এই তো বেশ ছিলে । আবার কি হলো । ?
সাহস সঞ্চয় করে ডরোথী বলেই ফেলে কথাটা । – ‘রেভ্ ‘আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারব না । প্লিজ ডোন্ট আস্ক মি হোয়াই ? ইট ইজ টোটাল পারসোনাল । – ‘- ডরোথী , ডোন্ট বি আ ফুলিশ গার্ল । বি আ ব্রেভ গার্ল । এতে তোমার অসুবিধা হবে । ডরোথী বলে , – তাতে তোমার কি ? রেভ্ বললো- ‘আমি তোমাকে ভালবাসি । দোষ আমি করেছি । বৃষ্টির রাতে আমি তোমাকে- ‘ ডরোথী বলে- ইউ । ডার্টি ডগ । তোমাকে আমি কোন দিন বিয়ে করব না । – প্লিজ ডরোথী বিশ্বাস করো , সে দিন রাত করেই বাড়ি ফিরেছি । ঘরে ফিরে চেঞ্জ করেই লাইট না জ্বেলেই শুয়ে পড়েছি । – আমি আর শুনতে চাই না । – বিলিভ মি যখন বুঝলাম তুমি ঐ বিছানায় । তখন ই উঠে যেতে চেয়ে ছিলাম । তুমি আমাকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলে তোমাকে ছেড়ে কোথাও চলে না যাই । আমাকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলে । শেষের কথা বলতে বলতে হাসে রেভ্ । এবার বলো আমার অদর্শনের পর যখন আমার প্রেমিকা প্রেম নিবেদন করছিল তখন আমার কি তাকে ছেড়ে যাওয়া উচিত ছিল ? ভুল যেটা করেছি সেটা তোমার অসুস্থতার কথা না জেনেই করেছি । পরে বুঝেছি জ্বরের বিকারেই সব কথা বলেছ । “বাট ইট ওয়াজ টু লেট । ” ডরোথী বলে- “ইউ চিটার ” । আমি তোমার সাথে কথা বলবো না ।
কথা বলবে না বলে বাড়ি ফিরে এসেছে । ডরোথীর মন অনেক হালকা লাগছে । “হু ইজ হি” প্রশ্ন টা আর ওকে জালাচ্ছে না । তবে রেভ্ ডরোথীর জ্বরের সময় ওর অজান্তে যে কাজটা করেছে তার জন্য ডরোথী পুরো পুরি রেভ্ কে দায়ী করতে পারে না । সেই কষ্টের সময় ডরোথী কে একা ছাড়েনি রেভ্ । সঙ্গে থেকেছে । প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে । ডরোথী কি কনসিভ করেছে ? দেরি করা যাবে না ।
পেছনের শব্দে ফিরে চাইল ডরোথী । রেভ্ ও এসেছে ওর পেছনে পেছনে । পামেলা রেভ্কে দেখে খুশি । হাত মুখ ধুয়ে আসতে বলেন । – রেভ্ হাত মুখ ধুয়ে এসো । ব্রেক ফাস্ট তৈরি ।
পামেলা আজ খুশি কারণ ডরোথী ও রেভ্ যখন একসাথে তখন কিছু একটা সুরাহা নিশ্চয়ই হয়েছে । আজ ডরোথী রেভ্ কে অবহেলা করছে না । টেবিলে একই সাথে ব্রেক ফাস্ট করতে বসেছে । ডেভিড ও বসে আছেন । ব্রেড বাটার আর বয়েল ডিম । সঙ্গে ফ্রুট ও আছে । ডরোথী হঠাৎ খাওয়ার ডিস সরিয়ে ছুটলো বেসিনের কাছে । পামেলা ও ছুটলেন মেয়ের সাথে ।
মা ও মেয়ে ফিরে আসতে বাকি দুজনের দৃষ্টি সে দিকে । অর্থাৎ কি হলো ? -পামেলা বলেন – বমি করলো । -রেভ্ জোর করে ডরোথীকে শুয়ে পড়তে বললো । -রেভ্ ব্যাগ থেকে স্টেথো বার করে টেস্ট করলো ডরোথীর । ডরোথীর বাবা মায়ের জিজ্ঞাসু নেত্র । আর ডরোথী ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে উত্তরের অপেক্ষায় ।
রেভারেন্ড দোদুল্যমান । কারণ সত্যি কথা না বললে ডরোথী বিয়ে করতে রাজি হবে না । সমাজের কাছে সেটা লজ্জার । তাই সত্যি কথাটা বললো । – সি ইজ গোইং টু হ্যাভ মা ই বেবি । “
ডেভিড আর পামেলা হাঁ করে চেয়ে আছেন রেভারেন্ড এর দিকে । বিয়ের আগেই সন্তান ধারণ ! হতবাক হয়ে চেয়ে আছেন দুজনে । ডরোথীর সাথে কথা না বলেই চলে গেছে রেভ্ । বাবা কে সব জানিয়েছে রেভ্ । মোট কথা দেরী করা যাবে না । তাড়াতাড়ি বিয়ে সাড়তে হবে ।
আবার ও ডরোথী বেঁকে বসেছে । মাকে বলেছে- আমি কনসিভ করছি তাই বিয়ে করছে আমাকে করুনা করে । তা হতে পারে না । আমি কারো করুনা চাই না । আমি আমার সন্তান পালন করতে পারবো ।
কোন কথাই লুকানো থাকছে না । সব কথাই চলে যাচ্ছে রেভ্ এর কানে । পামেলার কথা মতো রেভ্ কে রাতে থাকতে হয়েছে । তাদের মেয়েকে রাজি করাতেই এবাড়িতে বেশ রাত করে থাকতে হয়েছে । রাত নয়টা নাগাদ রাতের খাওয়ার পর ডরোথী তার শোবার ঘরে ঢুকে গেল । রেভ্ এই বাড়িতে আছে জেনে ও বসে থাকেনি । ঘরে গিয়ে নাইটির ওপরে স্লিমিং গাউনটা পড়ে নিল । এই গাউন ডরোথীর প্রিয় । শোবার আগে চুল আঁচড়ে নিলো । খোলা চুলেই শোওয়ার অভ্যাস । চমক ফেলা কেশ রাশি ওর স্বাস্থ্যের ঔজ্জ্বল্যতার প্রতিক । বিছানায় কাত হয়ে শুয়ে পড়লো । পাশে রয়েছে একটা আধ খোলা বই । শরীরটা একটু খোলা রাখার উদ্দেশ্যেই বুকের ক’খানা বোতাম খোলা । এটা ঘুমের আগের রোজকার নিয়ম ।
দরজায় টোকা না দিয়েই রেভ্ ডরোথীর ঘরে ঢুকে গেছে । দুধ সাদা পাজামা আর পাঞ্জাবিতে রেভ্ কে দারুণ লাগছে । ডরোথীর গালে লালের ছোপ । নিজের সরম রাঙা ভাব টাকে আঁড়াল করতে মুখ ফেরায় ডরোথী । রেভ্ এর দিক থেকে মুখ ফেরালে ও মন ফিরলো কই ? সারা শরীরে রক্তের দাপাদাপি । কি করে থামাবে সে তাই বুঝি ছদ্ম কোপে চিৎকার করে উঠলো । – কেন এসেছ এ ঘরে ? – ‘- ইউ নো বেটার দ্যান মি । তাছাড়া তোমার মম আর ড্যাড এর পারমিশন নিয়ে এসেছি । বসে পড়ে ওরই বিছানায় ওরই পাশে । ডরোথী জানে ওর আত্মরক্ষার দেওয়াল ভালোবাসার স্রোতে গলে গলে পড়ছে । এরপর বুঝি হেরে যাবে ডরোথী । তাই বলে- রেভারেন্ড ব্যানার্জি , আমি আগেই বলেছি তোমাকে ভালবাসি না । বাজি ধরো না হেরে যাবে । আমি দেখিয়ে দেবো যে কতো টা ভালোবাসো তুমি আমাকে ।
এবার ভয় পায় ডরোথী । কারণ রেভ্ এর এক্সপার্টাইজের কাছে ধরা পড়ে যাবে । তাই বলে- আমি তোমাকে বিয়ে করবো না । রেভ্ বলে- কারণ জানতে পারি কি ? – আমি কারও করুনা চাই না । – কে তোমাকে করুনা করছে ? – ‘তুমি আমাকে করুণা করে বিয়ে করতে চাইছো না ? – -ইউ হিপক্রিট । বলে ই ডরোথীর হাতের রিস্ট চেপে ধরেছে । – ককিয়ে উঠেছে ডরোথী । উঃ ছাড়ো । আস্তে আস্তে হাতের চাপ বদলে গেছে । এই অনুভূতি ভালোবাসার কথাই বলে । রেভ্ এর দৃষ্টি ডরোথীর মুখে । একটা আনাড়ি অবধি বলে দিতে পারবে যে ডরোথীর ভালোবাসা এখন গলে গলে পড়ছে । হাতের খেলা রেভ্ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে । যতক্ষণ না ডরোথী রাজি হয় ততক্ষণ চলবে এই চাবি কাঠি । ডরোথী বলে- প্লিজ রেভ্ । রেভ্ বলে- প্লিজ কি ? বুঝতে পারো না আমার ভালোবাসা র কথা ? সেই একুশে পড়েই তোমাকে ভালবেসেছি । আজ অবধি ভালোবাসি । নইলে লন্ডন থেকে ফিরে আসি ? হ্যাঁ একটা ভুল আমি করে ফেলেছিলাম । তবে তুমি এনকারেজ না করলে ঐ ঘটনা ঘটতো না । আফটার অল আই এম এ ম্যান ।
চুপ করে থাকে ডরোথী । ওকে হাসাতেই আবার বলে- তবে তুমি যদি রাজি না থাকো তবে বলো । না হয় মলি কে প্রোপোজ করলে মলি এক কথায় আমাকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যাবে । রেভ্ এর ভঙ্গিতে হেসে ফেলে ডরোথী । ছদ্ম কোপে ই বলে- ইউ চিটার । বলে বালিশ তুলে রেভ্কে মারতে থাকে । তার ই মধ্যে ধরা পড়ে যায় রেভ্ এর দুই বাহুর দখলে । এবার রেভ্ গম্ভীর হয়ে বলে- এবার বলো তুমি আমাকে বিয়ে করতে রাজি তো ? ডরোথী রেভারেন্ড এর বুকে মুখ ঘষতে থাকে । আবার রেভ্ বলে- রাজী তো ? ডরোথী ততোধিক লজ্জায় বলেছে- রাজি ।
রাজি না হয়ে পারে ডরোথী ? এতো ভালোবাসা কোথায় পাবে ? তাছাড়া যে সন্তান আসছে তাকে পিতৃহীন ডরোথী করতে পারবে না । রেভারেন্ড আলতো হাতে ডরোথীকে শুইয়ে দিয়েছে । তারপর চাদর টেনে পরম স্নেহে ডরোথী কে ঢেকে দিয়েছে । বন্ধ দরজাতে দৃষ্টি নিবদ্ধ ডেভিড আর পামেলার । রুদ্ধশ্বাসে দরজা খোলার প্রতীক্ষা । দরজা খুললে তবে শান্তি । তবে পুরো পুরি কি না তা বলা যায় না । তবে আশা রেভারেন্ড মেয়ে কে রাজি করাতে পারবে । পামেলা স্বামী কে বললেন- তুমি শুয়ে পড়ো গিয়ে । আমি তো বসছি । কিন্তু ডেভিড রাজি হলেন না । বললেন- এতক্ষণ যখন বসেছি তখন দেখেই যাই । মেয়ে টা বড্ড জেদি । তোমার আমার কারো তো এমন জেদ নেই ।
পামেলা বলেন- বেশি ভালোবাসা পাচ্ছে তাই হেলা করছে রেভ্ কে । দরজা খুলে গেল । নিঃশব্দে এগিয়ে এলো রেভ্ । এসে সোফায় বসলো । পামেলার মুখে কথা নেই । যা মেয়ে তাদের-এবার না কথা টা ই শুনতে হবে । শুধু ই চেয়ে থাকেন রেভ্ এর দিকে । হঠাৎ ই রেভ্ বললো- ‘হিন্দু মতে ই হবে তো ? পামেলা চিৎকার করে উঠলেন- কি বলছো তুমি ! রাজি হয়েছে ? রেভ্ বললো- হ্যাঁ । বিয়ের জোগার করুন । উচ্ছসিত পামেলা ছুটে এসে রেভ্ কে জড়িয়ে ধরে কিস্ করে বলেন- আমি জানতাম তুমি ই পারবে । আমার অবস্টিনেট মেয়ে টা কে সিধে করতে । রেভ্ এর উত্তর- আমি কিছু ই করিনি ডরোথী নিজের থেকে ই রাজি হয়েছে ।