গাংচিলের ডানায় লেগে থাকা সমুদ্রনীল
দেখায় আকাশআয়নার হাসি ।
একটুকরো লাল এনে দেয় বিপ্লব অথবা মৃত্যুর ফরমান।
তোমার হায়না সবুজ চোখে খুঁজছিলাম নিজেকে,
একটা গোঙানি চটকা ভাঙিয়ে দেখিয়েছিল মনটেবিলে শুয়ে থাকা আমার শব, শীতের ঝরে যাওয়া হলুদ পাতার মত ।
ছোটবেলার মেরি গো রাউন্ডের ঘোড়াগুলো বয়ঃসন্ধি থেকে কেন যে নেকড়ে হয়ে জীবনের রক্ত খোঁজে কে জানে !
অনুশাসনের দূর্বোধ্যতায় সবটাই পিথাগোরাসের কঠিন থিওরির মত যাতায়াত শুরু করে , পা হড়কে গেলেই নীচের গিলোটিনে আশ্রয়।
প্রিজমের ভেতর দিয়ে ছিটকে আসা আলোটা তখন অমাবস্যার রাত হয়ে ধরা দেয় বুকপকেটে।
দিস্তা দিস্তা কাগজ আর পেনের আদ্যশ্রাদ্ধ সেরে নিস্ফলা যোগীর মত ভূতোবোম্বাই মুখে দার্শনিক বুলি কপচে আঁতেল হই বা খালাসিটোলার সামনের নর্দমার পাঁকে আপাদমস্তক ভিজিয়ে কবি হতে চাই ।
কান এঁটো করা বত্রিশ পাটি ফেভিকল দিয়ে পার্মানেন্ট ভাবে আটকে হিপোক্রেসির “ভালো আছি ” বলাটাই এখন জীবনের একমাত্র উপপাদ্য।
আসলে একটা ডেডবডি ছাই হবার বা মাটিতে মিশে যাবার ঠিক আগের মূহুর্তে বলে যায়–
” তুমি কোনদিনই ভালো ছিলে না , সকল মানুষের মত তোমার ভিখারীপনার যে কখনোই মৃত্যু হয় নি,
তাই আর যাই হোক কালোত্তীর্ণ হতে পারনি। বিবেক আর চাহিদার ট্র্যাপিজের খেলা যে শেখনি!
একলাফে চাঁদ ছুঁতে গেছ, সাধনা করনি, সাধক না হলে তো আমজনতাই হয়ে থাকবে , যা ছিলে ।