আমার পাঁজর কেটে নাও সেই হাড় ,
আমার রক্তে মাদল বাজাও উত্তাল ,
আমি নক্ষত্রপথ ছুঁয়ে তোমাকেই দিয়েছি
আমার সেরা উপহার ‘হৃদয়ের গান ‘ ।
খ্যাপার মতন খুঁজে চলেছি পরশপাথর ,
উল্কার মতন জ্বালিয়ে দিয়েছি বন – জঙ্গল ,
ইস্পাতের মতন দৃঢ় ছিলাম শোকের সময় ,
কবির মতন হাসতে পেরেছি অভাবে ।
খবরের কাগজের কুচি উড়িয়েছি ঝড়ো বাতাসে ,
কংক্রীটের ঘন অরণ্যে লেপেছি মাটি – জল ,
যে কোনো নীরবতাকে ভেঙেছি কর্কশ আওয়াজে .
যে কোনো সময় লিখেছি প্রেমপত্র ।
যেদিন থেকে পাল্টে গেছে ঋতুচক্র ,
যেদিন থেকে জানতে পেরেছি ভবিতব্য ,
যেদিন থেকে ডাকতে শিখেছি ‘ লাবণ্য’ …..
সেদিন থেকে চিনতে পেরেছি কাব্য ।