একটা রোদের প্রান্তর পার হলে এসে পড়ে আরও একটা রোদের প্রান্তর….
একটা বন্যার ভাসানের ক্ষত শুকাবার আগে শুরু হয় আবার পাড় ভাঙার পালা….
একটা শীতের কুয়াশার চাদর ছিঁড়তে না ছিঁড়তে ছুটে আসে মুঠো মুঠো হিমেল হাওয়া….
তপ্ত প্রান্তরে বেজে চলে ফেটে যাওয়া মাটির আর্তনাদ-
নদীর দু কূল জুড়ে বেজে চলে ভাঙার শব্দ-
শীতের অরণ্য জুড়ে বেজে ওঠে ঝরা পাতার বিষন্ন বেদনা-
তবুও প্রান্তর শুয়ে থাকতে চায় ঘাসের গোছা আঁকড়ে ধরে!
তবুও নদী বয়ে যেতে চায় সভ্যতার ছন্দ বাহু পাশে আঁকড়ে!
তবুও তরু দাঁড়িয়ে থাকে কচি পাতার স্পর্শের অপেক্ষায়!
থেমে নেই চলা… আর থেমে নেই ভাঙা গড়া…
শুধু আছে দগ্ধতার যন্ত্রণা… শীতলতার কর্কশ হাতছানি…
হেমন্তের মায়াবনে ডেকে ফেরা পাখিটির ডানা থেকে খসে যাক আরও কিছু পালক।
এখন কোথাও কোন বিষন্নতা নেই।